অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি।।আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের অস্টিন শহর। সেখানে চিলড্রেন্স মেডিক্যাল গ্রুপের অফিসে হঠাৎই হাজির হন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ভারত নারুমানচি। সেসময় চিলড্রেন্স মেডিক্যাল গ্রুপের অফিসে চলছিল একটি জরুরি মিটিং। ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ওই বৈঠক চলাকালে সেখানে ঢুকে পড়ে পকেট থেকে বের করেন পিস্তল।
বৈঠকে উপস্থিত সকলেই পণবন্দি করেন তিনি। এরপর এক মহিলা চিকিৎসককে গুলি করে নারুমানচি আত্মঘাতী হন। মঙ্গলবার আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের অস্টিন শহরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত সকলকেই পণবন্দি করেছিলেন ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যাথরিন ডবসন নামে এক মহিলা চিকিৎসককে ছাড়া বাকি সকলকেই মুক্তি দেন তিনি।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিনকেই গুলি করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। বারবার নাম নারুমানচির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত অফিসের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে নারুমানচি ও ক্যাথরিন (৪৩) দুজনেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। চিকিৎসক নারুমানচি ও ক্যাথরিন দু’জনেই প্রায় সমবয়সি ছিলেন। ক্যাথরিনের তিন সন্তান রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ক্যাথরিনকে গুলি করার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন নারুমানচি। তবে ক্যাথরিনকে আগে থেকেই নারুমানচি চিনতেন কিনা সেটা জানা যায়নি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক সপ্তাহ আগে একবার চিলড্রেন্স মেডিক্যাল গ্রুপের অফিসে এসেছিলেন নারুমানচি। ওই সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
মৃত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই ওই শিশু বিশেষজ্ঞের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে কারণেই গত কয়েকদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কি কারণে নারুমানচি এই ঘটনা ঘটালেন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।