ধর্ষণের পর ব্ল্যাকমেল, সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী মহিলা সাব ইন্সপেক্টর

প্রথমে ধর্ষণ। ধর্ষণের পর নিয়মিত ব্ল্যাকমেল ও মানসিক অত্যাচার। যা সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর।

শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ অ্যাকাডেমির ইন্সট্রাক্টরকে। অভিযোগ উঠেছে, ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের ভাই বিষয়টি জানানোর পরেও সংশ্লিষ্ট ইনস্ট্রাক্টরকে গ্রেফতার করতে অস্বীকার করেছিল স্থানীয় থানা।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ইন্সট্রাক্টরের সঙ্গে মোরাদাবাদের বাসিন্দা ওই মহিলার সাব ইন্সপেক্টরের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই ইনস্ট্রাক্টর জানতে পারেন, তরুণী সাব ইন্সপেক্টর অন্য একজনকে বিয়ে করতে চলেছেন।

এরপর ওই ইনস্ট্রাক্টর বারবার ওই তরুণীকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তরুণী তাতে রাজি ছিলেন না। তরুণীর ভাই অভিযোগ করেছেন, তাঁর দিদিকে ফাঁদে ফেলতে এর পর ষড়যন্ত্র করে ওই ইন্সট্রাক্টর।

তার নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওই তরুণী অভিযুক্তর বাড়িতে গেলে চায়ের সঙ্গে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। অজ্ঞান হয়ে গেলে তার দিদিকে ধর্ষণ করা হয়।

তুলে রাখা হয় ভিডিয়ো। এরপর শুরু হয় ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতে থাকেন ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর। শেষ পর্যন্ত চলতি মাসের প্রথমেই তিনি আত্মহত্যা করেন।

আত্মঘাতী তরুণীর ভাই আরও অভিযোগ করেছেন, পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও প্রথমে তারা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে চায়নি। যেহেতু অভিযুক্তের সঙ্গে আত্মঘাতী ইন্সপেক্টরের সম্পর্ক ছিল তাই তারা কোনও পদক্ষেপ করতে রাজি ছিল না।

তবে শেষ পর্যন্ত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই মহিলার সাব-ইন্সপেক্টরের ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় পঁচিশ বার নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের মধ্যে কথা হত। তবে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?