ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের ২১টি জেলা থেকে ট্রাক্টর, বাইক, গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছেন কৃষকরা। তবে মহারাষ্ট্রে শুধু কৃষকরা নন, সাধারণ মানুষও এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। কৃষকদের সমর্থনে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
জানা গিয়েছে এনসিপি প্রধান নিজে কৃষকদের সঙ্গে পথে হাঁটবেন। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে সভা করবেন কৃষকরা। সে কারণে মুম্বই থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে নাসিক থেকে ইতিমধ্যেই কৃষকদের এক বিশাল মিছিল পথ চলা শুরু করেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকেও মিছিল আসছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই বিভিন্ন দিক থেকে কৃষকরা মুম্বই এসে পৌঁছবেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকদের হয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেখেছিলেন পাওয়ার। এনসিপি নেতা স্পষ্ট বলেছিলেন কৃষকদের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া হলে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে। কেন্দ্র সেই পরিণতির দায় এড়াতে পারবে না।
এর পরেই এনসিপি নেতা পাওয়ার নিজের রাজ্যে কৃষকদের সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। কৃষকদের নিয়েই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন পাওয়ার। তিনি নিজে আজাদ ময়দানে কৃষকদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে চলেছেন বলে খবর।
মুম্বইয়ের এই কৃষক সমাবেশে অবশ্য বামপন্থী দলগুলির একটি বিশেষ ভুমিকা থাকছে। বছর তিনেক আগে মুম্বইয়ের কৃষকরা বামপন্থীদের ব্যানারেই এক বিশাল মিছিল করেছিলেন। যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজর যেমন দিল্লির কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের দিকে, তেমনই মহারাষ্ট্রের কৃষক আন্দোলন নিয়েও সবার আগ্রহ বাড়ছে। মঙ্গলবার আজাদ ময়দানে কৃষকদের ওই সভায় পাওয়ার কী বলেন সেদিকে রাজনৈতিক মহল বিশেষ নজর রাখছে।