রুক্ষ চুলের সমস্যা শীতকালের অন্যতম দোসর। স্বাভাবিকভাবেই যাঁদের চুল শুষ্ক, তাঁরা তো বটেই, যাঁরা স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত চুলের অধিকারী, তাঁরাও নিয়মিতভাবে চুলের কিছু বিশেষ যত্ন নিন।
নিয়মিত শ্যাম্পুর আগে তেল মাসাজ করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে একদিন রাতে হট অয়েল ট্রিটমেন্টও জরুরি। পাশাপাশি প্রয়োজন হেয়ার মাস্ক। অ্যাভোকাডো এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ শুষ্ক চুলের রক্ষাকবচ।
তৈলাক্ত চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন পাকা কলা, ডিম এবং কমলালেবুর রসের মিশ্রণ। স্বাভাবিক চুলের জন্য দুধ, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরার মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। চুল তো ম্যানেজেবল থাকবেই, পাশাপাশি পুষ্টিও পাবে ভরপুর।
তবে শুধুমাত্র তেল আর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলেই হবে না। এছাড়া চুলে আর কী কী ব্যবহার করছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অজান্তেই চুল যেন আরও শুষ্ক বা রুক্ষ হয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু থেকে এক ক’মাস চুলকে দূরে রাখাই শ্রেয়। পরিবর্তে বেছে নিন স্মুদনিং কোনও শ্যাম্পু। তেলের গুণে সমৃদ্ধ থাকলে তো আরও ভাল। সালফেটমুক্ত ভ্যারিয়েন্ট বেছে নিন।
কন্ডিশনারের ব্যবহারকেও গুরুত্ব দিন। যাদের চুল অত্যন্ত পাতলা, তাদের বছরের অন্যান্য সময় কন্ডিশনার না দিলেও চলে। কিন্তু শীতকালে কন্ডিশনার এবং তারপর সেরামের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
চেষ্টা করুন চুলের উপর যেন বাড়তি কোনও চাপ না পড়ে। তাই হিটিং টুলসের ব্যবহার, খুব শক্ত করে চুল বাঁধা বা অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রডাক্টের ব্যবহারও এড়িয়ে চলুন। স্টাইলিং এই ক’মাস করলে তার জন্য অতিরিক্ত যত্ন নিন।
কারণ যত বেশি স্টাইলিং করবেন, চুল তত বেশি নোংরা হবে। চুল ভাল রাখতে চুল ধোওয়ার প্রয়োজনও বাড়বে। এই ধরনের অভ্যেসও চুল শুষ্ক করে দিতে পারে। এভাবে চুলের যত্ন নিন পুরো শীতকাল জুড়ে। দেখবেন, চুল নরম ও ম্যানেজেবল থাকবে।