অন্যান্য দোকানগুলোর মালপত্র রক্ষা করার কাজে হাত লাগায় বাজারে ব্যাবসায়িরা৷ প্রায় এক ঘন্টা পর মাত্র ৯ কিলোমিটার দূর থেকে দমকল বাহিনী পৌঁছে৷ এই সময়ে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাজারের সাতটি দোকান৷ শেষে টাকারজলা এবং বিশ্রামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত দমকলের ইঞ্জিন আসে বাজারে৷ দমকল কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাজারে অন্যান্য দোকানপাট গুলি রক্ষা পায়৷ বিধবংসী অগ্ণিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন বেনু দেবনাথ, নারায়ণ দেবনাথ, কৃষ্ণ দেবনাথ, মাধব চন্দ্র ঘোষ, কমল ঘোষ, শ্যামল রায়৷
একদিকে আগুনের লেলিহান শিখা অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পরিবারের গণভেদী আর্তনাদে গভীর রাতে গোলাঘাটি বাজারের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে৷ দ্রুত সরকারি সহায়তা না পেলে তারা আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবেনা বলেই প্রতিক্রিয়া ব্যাপ্ত করেন৷ তাই বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে সরকারি সহায়তা প্রদানের দাবি উঠেছে৷ এছাড়া বুধবার রাত থেকেই বাজারে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জনতা৷আন্দোলনকারীরা দমকলের একটি ইঞ্জিন আটক করে রেখে দেয়৷
বৃহস্পতিবার সকালে আগুনে যে সাতটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে সেই দোকানগুলি পরিদর্শনে যান বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি এবং বিশালগড় মহকুমা শাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য৷পরবর্তী সময়ে বাজার ব্যাবসায়ী এবং স্থানীয় জনগন আন্দোলন প্রত্যাহার করে জেলা শাসক আশ্বাস দেয় ফায়ার স্টেশন বসানো জন্য সবধরনের চেষ্টা করবেন৷