স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২০ জানুয়ারি।। প্রতিটি বাড়িতে স্বউদ্যোগে সব্জি এবং ফুল চাষের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ আজ সচিবালয়ের ১ নং কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই আহ্বান জানান৷
তিনি বলেন, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ এই তিন অর্থবছরের জন্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এতে উপক’ত হবেন ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৬৫ পরিবার৷
বৈঠকে আলোচনার সূচনা করে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব সৌম্যা গুপ্তা বলেন, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর এই যোজনায় পোল্টি, শূকর, ছাগল পালনে মোট ৩০ হাজার ৬০ পরিবারকে, মৎস্য দপ্তর থেকে ৪৫ হাজার পরিবারকে মাছের পোনা, বন দপ্তর থেকে ২ লক্ষ পরিবারকে চালতা, সজনে, জলপাই, তেঁতুল গাছের চারা এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে বিভিন্ন সব্জির চারা ও বীজ দেওয়া হবে৷ উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর থেকে কলা, পেঁপে, লেবু, সুুপারির চারা দেওয়া হবে৷ সচিব সৌম্যা গুপ্তা আরও জানান, এ যোজনায় তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর, জনজাতি কল্যাণ দপ্তর, টিটিএএডিসিকে যুক্ত করা হবে৷
এই যোজনা রূপায়ণে নোডাল ও সমন্বয়কারী দপ্তর হিসেবে কাজ করবে গ্রামোন্নয়ন দপ্তর৷ পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, এই যোজনা বাস্তবায়নে দেড় বছরে ৫০ শতাংশ কাজ এবং পরের দেড় বছরে অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে হবে৷ এতে রাজ্যের ১,১৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ কমিটির প্রধান, উপপ্রধান, চেয়ারপার্সন, সদস্য সদস্যাদের যুক্ত করতে হবে৷
এছাড়া সাংসদ, বিধায়ক, জিলা পরিষদের সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে আগরতলায় এ বিষয়ে সভা করতে হবে৷ এ যোজনায় গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনায় এই কর্মসূচির কথা প্রচারের আলোয় নিয়ে যাওয়ার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।
পর্যালোচনা সভায় মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, প্রধান সচিব এস আর কুমার, কৃষি দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া, মুখ্য প্রধান বন সংরক্ষক ডি কে শর্মা, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷