আখ চাষ করে আর পিছনের দিকে ওনাকে ফিরে তাকাতে হয়নি

নতুন প্রতিনিধি, কমলপুর, ১৭ জানুয়ারি।। কমলপুর মহকুমার চলুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ চন্দ্র দাস। ৩৫ বছর আগে দেড় কানি জমি পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে পেয়েছিলেন তিনি। সেই জমিতে আখ চাষ করে আর পিছনের দিকে ওনাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। আখের রস থেকে গুড় তৈরি করে, সেই গুড় বিক্রয় করে একটু একটু করে জমি ক্রয় করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ১৭ কানি জমির মালিক। পাশাপাশি নিজের বাড়িঘড়কে সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন। নিজে পড়ালেখা না জানলেও আখ চাষ করে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলেছেন। দুই মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। তিন ছেলেকে পড়ালেখা শিখিয়েছেন। কিন্তু সরকারী চাকুরির দিকে তাকিয়ে না থেকে তাদেরকেও আখ চাষের সাথে যুক্ত করেছেন।  বিনোদ চন্দ্র দাস নিজের জানান নতুন ও পুরাতন মিলে প্রতিবছর তিনি চার থেকে পাঁচ কানি জমিতে আখ চাষ করেন। সেই আখের রস থেকে তিনি যে গুড় তৈরি করেন তা কমলপুর মহকুমা সহ আমবাসা ও কুমারঘাট মহকুমায় বিক্রয় হয় বর্তমানে। তিনি আরও জানানা চার থেকে পাঁচ কানি জমিতে আখ চাষ করার ফলে বছরে ওনার এক লক্ষ টাকা কিংবা এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা উপার্জন হয়। তাতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। আখ চাষ অত্যন্ত লাভ জনক। ১০ কানি জমিতে ধান চাষ করে যে লাভ হয়, সম পরিমাণ লাভ এক কানি জমিতে আখ চাষ করে পাওয়া যায়। পাশাপাশি তিনি জানান একটা সময় চলুবারি গ্রামের অধিকাংশ কৃষক আখ চাষ করলেও বর্তমানে অনেকে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কারন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আবার অনেকে রাবার চাষের দিকে ঝুকে গেছেন।আখ চাষি বিনোদ চন্দ্র দাসের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট আখ চাষ করে তিনি সফল। এবং আখ চাষ লাভ জনক। রাজ্যের আঁখ চাসীদের কাছে বিনোদ চন্দ্র দাস অনুপ্রেরণা হিসাবে পথ দেখাবে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ যারা সরকারী চাকুরির জন্য এদিক ওদিক ছুটছে তাদের কাছেও অনুপ্রেরনা আখ চাষি বিনোদ চন্দ্র দাস। কারন বেরোজগারের জ্বালায় নাঘুরে তারাও আখ চাষ করে রোজগারের পথ দেখতে পারেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?