ভারতীয় এয়ার স্ট্রাইকের লক্ষ্য ছিল সীমান্তে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শিবির একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া। শনিবার দেশের টেলিভিশন চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানে হিলালি বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে একেবারে যুদ্ধের মতই হামলা চালিয়েছিল। ওই বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আমরা অবচেতনভাবে এটাও স্বীকার করে নিয়েছিলাম যে, ভারতীয় বিমান হানা ছিল একটি নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, আমরা ভারতের এই পদক্ষেপকে কার্যত মেনে নিয়েছিলাম।
হিলালির এই স্বীকারোক্তিতে একদিকে যেমন পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে, তেমনই সুবিধা হয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। কারণ এই বিমান হামলায় তিন শতাধিক জঙ্গির মৃত্যুর কথা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল মোদি সরকার। যদিও দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস মোদি সরকারের ওই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকি, বিমান হানার প্রমাণও চেয়েছিল তারা।
অন্যদিকে ইমরান সরকার বরাবরই জানিয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় হতাহতের কোনও খবর নেই। যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা নিতান্তই সামান্য। কিছু গাছপালা নষ্ট হয়েছে মাত্র। কিন্তু হিলালির ওই বক্তব্য ইমরান সরকারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল।