অনলাইন ডেস্ক, ৬ জানুয়ারি।। হরমুজ প্রণালিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড দক্ষিণ কোরিয়ার একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক খবরে বলেছে, ট্যাঙ্কারটি অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দ. কোরিয়া কর্তৃপক্ষ।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, হরমুজ প্রণালিতে মোতায়েন থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল ইরানে গেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, সোমবার ওমান উপকূলের কাছে বিশজন ক্রুসহ হানকুক চেমি নামের ট্যাঙ্কারটি আটক করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইন লংঘন অভিযোগ এনেছে ইরান। দেশটি বলছে, ট্যাঙ্কারটি রাসায়নিক পদার্থ পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত করছি। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ট্যাঙ্কারটি ইরানের বন্দর শহর বান্দার আব্বাসে আটক রাখা হয়েছে। হানকুক চেমি জাহাজের আটক বিশজন ক্রু দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনামের নাগরিক।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জলদস্যু মোকাবিলা ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে চই ইয়ং নামে একটি রণতরী হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছে। হরমুজ প্রণালির এই এলাকা সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি এলাকা।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চোই ইয়াং-সাম জানান, তারা কোনো সামরিক তৎপরতায় যেতে চায় না। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানে আগ্রহী।মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে ইরানের ৭০০ কোটি ডলার আটকে আছে। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ট্যাঙ্কার আটকের এ ঘটনা ঘটল।
তবে ইরান তাদের জব্দ করা অর্থসম্পদ ছাড়ানোর ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিতে ট্যাঙ্কারটি আটক করেছে এমন অনুমান নাকচ করে দিয়েছেন দ. কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী কাং কিউং-হোয়া।