নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি।। আগারতলার পার্শবর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম লঙ্কামুড়া, সানমুড়া ও কালীকাপুর। এই এলাকাগুলিতে সারা বছর ধরে প্রচুর পরিমাণে মরসুমি সবজি চাষ হয়ে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের বেশীরভাগ সবজি এই সকল এলাকা গুলি থেকে যোগান দেওয়া হয়। তাই এই এলাকা গুলিকে সবজির ভান্ডার বলা হয়। এর মধ্যে লঙ্কামুড়া এলাকায় কপাঁলি সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। যে দিকে চোখ যায় মাঠ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের মরসুমী সবজির আবাদ লক্ষ্য করা যায়। এবছর শীতকালীন সবজি যেমন মূলা, ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম, কাঁচালঙ্কাসহ অন্যান্য সবজির পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে মিষ্টি কুমড়োর ডোগা চাষ করেছেন লঙ্কামুড়ার চাষিরা। এই ডোগা বিক্রির জন্য মাঠ থেকে তুলে ছিলেন লঙ্কামুড়া এলাকার চাষি কেশব রুদ্রপাল। তিনি জানান এবছর এই এলাকার চাষিরা শীতকালীন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ মিষ্টিকুমড়োর ডোগা চাষ করেছেন। ডোগাসহ অন্যান্য সবজির ভাল ফলন হয়েছে। তবে তারা খুশী নন কারণ চাষিরা সঠিক মূল্য পাচ্ছে না এখন। তিনি জানান তারা যে ধরনের ডোগা চাষ করেছেন এগুলিতে কুমড়ো ধরবে না, শুধুমাত্র ডোগা কেটে বিক্রি করার জন্যই চাষ করা হয়। তিনি একাই প্রায় আধ বিঘা জমিতে এই ডোগা চাষ করেছেন। প্রথম দিকে ডোগার সঠিক মূল্য পেলেও এখন ডোগার সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। মরসুমের শুরুতেই তারা একটি ডোগা ১০টাকা করে বিক্রি করেছেন। পাইকারেরা মাঠ থেকে কিনে নিয়ে যায় কিন্তু এখন ১টি ডোগা ২থেকে আড়াই টাকা দরে বিক্রি করতে কষ্ট হচ্ছে। তারা প্রথম দিকে ভালো মূল্যে বিক্রি করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময় আরো বেশী সংখ্যক চাষিও লাভের কথা চিন্তা করে ডোগা চাষ করলে দাম অনেকটাই পড়ে যায়। অন্য আরো একটি কারণ হচ্ছে প্রথম দিকে জমিতে জলের পরিমান তুলনা মূলক বেশী থাকে । তাই ডোগা গুলি অনেক বেশী সতেজ থাকে। কিন্তু শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। এই সময় সঠিক ভাবে জল সেচ না দিতে পারায় ডোগার চেহারায় সতেজ ভাব কমে যায় বলেও জানান। তবে যদি সরকার থেকে তাদের সহায়তা দেওয়া হতো তবে তারা কিছুটা লাভবান হতেন বলেও জানান। এখন শুধু সবজি চাষ করে পরিবার নিয়ে কোনমতে খেয়ে বেঁচে আছেন বলে জানান তিনি। মাঠের যে জায়গা থেকে কুমড়োর ডোগা তোলে নিয়েছেন এই জমি আবার তৈরি করছেন ডাটা চাষ করার জন্য। তিনিও জানান চাষিদের তুলনায় পাইকার ও ব্যবসায়ীদের লাভ অনেক বেশী থাকে।