অনলাইন ডেস্ক, ৪জানুয়ারি।। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম বার বসেছিলেন অঞ্জলি বিড়লা। রাজস্থানের কোটার বছর ২২-এর এই তরুণী প্রথমবারেই আইএএস উত্তীর্ণ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে বিড়লা পরিবারে উৎসবের মেজাজ।
অঞ্জলির অবশ্য একটি আলাদা পরিচয় আছে। তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার ছোট মেয়ে। জানা গিয়েছে, কোটার সোফিয়া স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর অঞ্জলি দিল্লির রামজস কলেজে ভর্তি হন। তাঁর বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান। অঞ্জলি জানিয়েছেন, আইএএস হওয়ার জন্য তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রতিদিন তিনি ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়তেন। এই পরীক্ষার জন্যও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি বেছে নিয়েছিলেন।
উত্তীর্ণ হবার খবর জানার পর অঞ্জলি অত্যন্ত খুশি। অঞ্জলি জানিয়েছেন, এই কৃতিত্বের পিছনে তাঁর দিদির অবদান সবচেয়ে বেশি। অঞ্জলি স্বীকার করে নিয়েছেন, দিদি আকাঙ্খাই তাঁকে প্রথম থেকেই উৎসাহিত করে গিয়েছেন। দিদির সেই চেষ্টার ফলে তিনি আজ আইএএস হতে পেরেছেন। লোকসভার স্পিকারের বড় মেয়ে আকাঙ্খা পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। তবে স্পিকারের পরিবার যথেষ্টই উচ্চশিক্ষিত। তাঁর স্ত্রী অমৃতা বিড়লা একজন নামকরা গায়নোকোলজিস্ট। কোটার এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে তিনি নিযুক্ত আছেন।
তবে আইএএসের প্রথম তালিকায় অঞ্জলির নাম ওঠেনি। তাঁর নাম উঠেছে দ্বিতীয় তালিকায়। রীতিমত এক রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন অঞ্জলি। জানিয়েছেন বাবা ওম বিড়লাই তাঁর আদর্শ। বাবার মতই তিনিও সমাজসেবার কাজ করতে চান। সে কারণেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার দিকে ঝুঁকেছিলেন। তিনি যে কোন বিভাগে কাজ করতে তৈরি আছেন। তবে মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেলে তিনি খুশি হবেন।
