অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারি।। বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্র মিলেছিল আগেই। এবার তাতে সিলমোহর দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, দুই করোনা প্রতিষেধককেই ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দিল ডিসিজিআই।
এদিকে ঘোষণার পরই ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডিসিজিআই-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি উদ্দীপ্ত লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
এই ঘোষণার ফলে করোনামুক্ত দেশ গড়ার দিকে আরও একধাপ সুগম হল। অভিনন্দন ভারত। অভিনন্দন দেশের বিজ্ঞানীদের।’ রবিবার সরকারিভাবে সাংবাদিক সম্মেলেনর মাধ্যমে এই দুই ভ্যাকসিনকেই জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ডিসিজিআই জানিয়েছে, ‘কোভিশিল্ডের সুরক্ষা-নিশ্চয়তা ৭০ শতাংশের বেশি। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখা যাবে।’
ডিসিজিআই কর্তা জানান, বিদেশের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের ২৩,৭৪৫ অংশগ্রহণকারীর সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত তথ্য পেশ করেছিল সেরাম।’ ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। ভারতে যে টিকার উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
নিম্ন ও মধ্য আয়বিশিষ্ট দেশের জন্য ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করার চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা আইসিএমআর ও হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেক একযোগে ‘কোভ্যাক্সিন’ তৈরি করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন যে তিন কোটি করোনা যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। চলতি মাস থেকেই টিকাকরণ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্যের তিনটি স্থানে ড্রাই রান করা হয় টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কোনও সমস্যা আছে কিনা।
সম্প্রতি প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ভারত অল্পসংখ্যক দেশের মধ্যে একটি যেখানে চারটি টিকা তৈরি হচ্ছে। সেগুলি হল কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, জাইডাক ক্যাডিলার ZyCoV-D ও রাশিয়ার Sputnik-V।