অনলাইন ডেস্ক, ২ জানুয়ারি।। নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর আসে গোটা দেশবাসীর জন্য। জানা যায়, ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে করোনার ভ্যাকসিন। এরপর দিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, দেশজুড়ে প্রত্যেককে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ এদিন তিনি দিল্লিতে জানিয়েছেন, “শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশে সবাই বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন৷”
এদিকে আজই করোনার ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু হয়েছে গোটা দেশে৷ তার মধ্যেই দেশে বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার৷
উল্লেখ্য, আগামী ছয় মাসে কেন্দ্র দেশজুড়ে ৩০ কোটি মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই টিকা দেবে। তারপর গোটা দেশের সকল মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে সেই টিকা অনেক কম দামেই সর্বত্র বিতরণ করা হবে। নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি কে পল এই খবর জানিয়েছেন।
ডক্টর পল এদিন জানান, টিকা বিতরণের জন্য গোটা দেশে ৩১ টি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। দেশে ২৯ হাজারের বেশি জায়গায় টিকাকরণ শিবির হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজ্যে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজে থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়ে শিবিরগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারেও চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
পল জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে মূলত করোনার বিরুদ্ধে যারা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে যারা রয়েছেন তাঁরা হলেন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী ও ডাক্তারি পড়ুয়ারা। পরবর্তী ক্ষেত্রে বয়স পেশা ও কোমবিডিটির ব্যাপারটি মাথায় রেখে টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকাকরণের বিষয়টি স্বচ্ছ রাখতে সবকিছু অনলাইনে নথিবদ্ধ থাকবে।
কাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, কী পরিমাণ ডোজ দেওয়া হয়েছে, কবে, কখন, কোথায় টিকা দেওয়া হয়েছে তার সব তথ্যই মিলবে অনলাইনে। ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক নামে এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে টিকা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে পল জানিয়েছেন।