নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জানুয়ারি।। ২০১৮ এবং ২০১৯ -এ উত্তর জেলা পুলিশ নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে সাফল্যের খতিয়ান তৈরি করেছে। আদর্শ ত্রিপুরা,নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার সপ্নকে সামনে রেখে উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার মানিক দাস শুরু করেছিলেন এই নেশা বিরোধী অভিযানের। এখন তার পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে চলেছেন বর্তমান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি। ২০১৮ তে মোট ৭০টি এন ডি পি এস মামলায় ১৪০ জনকে গ্রফতার করা হয়েছিল । ১৩ জন পলাতক অবস্থায় রয়েছে। গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ৯৭২০ কেজি , হেরোইন ১৯০২ গ্রাম, কফসিরাপ ২১১৬ বোতল , ইয়াবা টেবলেট ৩৪, ৫২০ টি। এই অভিযানে ছোট গাড়ি ১১টি ,বড় গাড়ি ১০টি , বাইক ৮টি ,মোবাইল ফোন ৭টি এবং নগদ টাকা ২৮লক্ষ ১১হাজার ৭৭৬ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ২০১৯ এ ৫২ টি মামলায় ৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ২২ জন পলাতক অবস্থায় রয়েছে । গাঁজা আটক করা হয়েছে ৩০৯৩ কেজি , হেরোইন ১৪৩৯ গ্রাম, কফ সিরাপ ১৬,৪৮৬ বোতল, ইয়াবা টেবলেট ২,৭২, ৮৬৬ টি, ছোট গাড়ি ১২টি , বড় গাড়ি ১১টি ,বাইক ১২টি, মোবাইল ফোন২৫টি এবং ১৩,৭৫,৩৪০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পরিসংখ্যান দেন জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি ।তিনি জানান উত্তর ত্রিপুরা জেলায় নেশা দ্রব্যের চাষ হয় না। শুধুমাত্র গোপন সুত্রের উপর ভিক্তি করে নেশ দ্রব্য গুলি পাচারের সময়ে ধরা হচ্ছে। ত্রিপুরা এবং আসামের মধ্যে সিমান্ত এলাকা রয়েছে ১০০ কিলোমিটারের উপর । তাই এখন পায়ে হেটেও নেশা কারবারিরা নেশা সামগ্রী আদান প্রদান করছে। ইতিমধ্যে তারকপুর এলাকা থেকে এক পাচারকারিকে আটক করে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ৭ জন পুলিশ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এক জনকে পুরপুরি চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি।২০১৮ তুলনায় ২০১৯ এ লক্ষ্য করা গেছে উত্তর ত্রিপুরা জেলায় অন্যান্য নেসাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার কমলেও যুবসমাজ ট্যাবলেটের দিকে ঝুকে পড়ছে বলে জানিয়েছেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি। তবে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ বলে জানান তিনি।উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি পুলিশের এই সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন এই সাফল্যের কৃতিত্ব সকল পুলিশ কর্মীদের ।সাধারণ নাগরিক যারা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে পুলিশকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছেন , বিভিন্ন সময় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সাহায্য করছেন তাদের ধন্যবাদ জানান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি।