অনলাইন ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর।। নিউ ইয়ার্সের পার্টি করতে হবে। তাই ঠাকুমার কাছে টাকা চেয়েছিল বছর ১৯-এর নাতি। কিন্তু ঠাকুমা টাকা না দেওয়ায় প্রচন্ড রাগে ঠাকুমাকে হাতুড়ির ঘা মেরে খুন করল কীর্তিমান। যদিও শেষ পর্যন্ত এই গুণধর নাতি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। শনিবার পূর্ব দিল্লির শাহদারা অঞ্চলে এই খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার পূর্ব দিল্লির শাহদারা অঞ্চল থেকে জনৈক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, এক বৃদ্ধাকে হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করেছে তার নাতি। ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সতীশ জলি নামে ওই ৭৩ বছরের বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা হাতুড়ি। শাহদারা অঞ্চলের রোহতাস নগরের একটি বাড়ির একতলায় থাকতেন সতীশ।
তাঁর বড় ছেলে সঞ্জয় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন। সঞ্জয়ের বড় ছেলে কিরণ। শনিবার সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ কিরণ তার ঠাকুমার কাছে নতুন বছরের পার্টি করার জন্য টাকা চায়। কিন্তু ঠাকুমা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে কিরণ তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে খুন করে। এরপর ঠাকুমার আলমারি থেকে ১৮ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় সে। কিরণের বাবা সঞ্জয়ের একটি মুদির দোকান আছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, কিরণ অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল। সেই জন্যই সে ঠাকুমার কাছে টাকা চায়।
রবিবার সকালে সঞ্জয় তার মায়ের কাছে এসে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। তার মা কোথায় গিয়েছে সেটা তিনি জানতেন না। শেষ পর্যন্ত তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। কিরণ পেরেক পোঁতার আছিলায় নিজেদের বাড়ির এক ভাড়াটের থেকে ওই হাতুড়ি এনেছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার কিরণ পুলিশের জালে ধরা পড়ে। কিরণ মেরঠের এক কলেজে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্র।