নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জানুয়ারি।। সরস স্বনির্ভরতার প্রতীক৷ স্বনির্ভরতা অর্জন করাই রাজ্য সরকারের মূল দিশা৷ সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী, সমবায়, এম এস এম ই, বড় শিল্প কারখানা প্রভ’তি ক্ষেত্রগুলিও রোজগারের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে৷ রাজ্য সরকার সেই ক্ষেত্রগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে৷ আজ হাঁপানিয়াস্থিত আগরতলা আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে বারো দিনব্যাপী প’দশ আ’লিক সরস মেলার উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে৷ সেই ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প৷ এর ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের রোজগারের পথ সুুগম হচ্ছে৷ রাজ্যে স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর হার সব থেকে অধিক৷ তাই তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেইগুলিকে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করতে হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে রাজ্যের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থানকারী ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরকে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের শহরের পাশাপাশি গ্রামেরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে৷ সেই সঙ্গে রাজ্যের মানুষের বার্ষিক গড় আয়ও বেড়েছে এবং আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ১ লক্ষ ৫০ হাজারের উপর ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়ন প্রভ’তি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন হচ্ছে৷ গ্রাম ত্রিপুরার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার৷ এম জি এন রেগা সহ বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সফলভাবে রূপায়ণের জন্য ত্রিপুরা সাফল্য পেয়েছে৷ এর ফলস্বরূপ সম্পতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বর্তমান রাজ্যসরকারের সময়কালের ২০ মাসের মধ্যেই ত্রিপুরা ১৩টি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে৷ পার্বত্য রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম বা দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশের মূল মন্ত্রকে পাথেয় করে রাজ্যের এবং কেন্দ্রের সকল প্রকল্পগুলিকে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর৷ গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি গ্রামের গরীব মানুষের কাছে বিদ্যৎ পৌঁছে দিয়েছে৷ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তা পৌঁছে দিয়েছে৷ এটাই হচ্ছে গ্রাম স্বরাজ এবং সুুশাসন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷ সমৃদ্ধশালী ত্রিপুরা তৈরী করা, গ্রামোন্নয়ন করা, প্রত্যেকটি ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়ার নিদর্শনই হচ্ছে এই সরস মেলা৷