রাজ্যে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে : আইনমন্ত্রী

নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের বর্তমান সরকারের প্রায় দুই বছরের সময়কালের মধ্যে রাজ্যে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে সাজার হারও রাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই দাবি করে আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে র্যালি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন৷ তাঁর বিশ্বাস, সুদীপ রায় বর্মন তথ্যের ভিত্তিতে র্যালি প্রত্যাহার করে নেবেন৷ আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি বিগত সরকারের শেষ দুই বছর (২০১৬ ও ২০১৭) এবং বর্তমান সরকারের দুই বছরে (২০১৮ ও ২০১৯) রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার তুলনা করে বলেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাজ্যে মোট মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ হয়েছিল ১৯৭৪টি৷ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৯১৯টি৷ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ধর্ষণ মামলা হয়েছিল ২৪১টি, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কমে হয়েছে ২২৭টি৷ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে শ্লীলতাহানির ঘটনা হয়েছে ৪৭৪টি আর ২০১৮ ও ২০১৯-সালে তা কমে হয়েছে ৪২৬টি৷ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাজ্যে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা হয়েছিল ৭৭৮টি৷ ২০১৮ ও ২০১৯-সালে তা কমে হয়েছে ৭১৯টি৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে মামলা রেজিষ্টারের সংখ্যাও বেড়েছে৷ তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, ২০১৬ সালে আই পি সি কেস রেজিষ্টার হয়েছিল ৩৯৩৩টি, ২০১৭ সালে রেজিষ্টার হয়েছিল ৪০৫৫টি৷ ২০১৮ সালে হয়েছিল ৫৪৫০টি এবং ২০১৯ সালে হয়েছিল ৫০৭১টি৷ মামলা রেজিষ্টারের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে তিনি জানান, মানুষের এখন পুলিশের প্রতি বিশ্বাস বেড়ে গেছে৷ নেশা সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেড়েছে৷ তিনি আরও বলেন, ২০১৬ ও ২০১৭ এই দুই বছরের মোট অপরাধের মধ্যে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের হার ছিল ২৫ শতাংশ৷ আর বর্তমান সরকারের দুই বছরে অর্থাৎ ২০১৮ ও ২০১৯ সালের মোট অপরাধের মধ্যে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের হার কমে হয়েছে ১৮.২৩ শতাংশ৷ এদিন আইনমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত তথ্য অনেকেরই জানা থাকে না৷ নানা কারণে তথ্য সকলের কাছে পৌঁছায় না৷ তাই, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার তাগিদ দেখা দিয়েছে৷ তিনি বলেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন রাজ্যে নারীদের উপর নির্যাতন নিয়ে যে র্যালির ডাক দিয়েছেন, এখন এই তথ্য জানতে পেরে তা তিনি প্রত্যাহার করবেন৷ আইনমন্ত্রীর বিশ্বাস, সুদীপবাবুর রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা রয়েছে৷ প্রকৃত সত্যের ভিত্তিতেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?