স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর।। কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সরকার সমাজের অন্তিম ব্যক্তির সার্বিক বিকাশে সচেষ্ট৷ এইলক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে নানা ধরণের পদক্ষেপ৷ আজ দক্ষিণ জেলার ঋষ্যমুখ ব্লকের অন্তর্গত নলুয়া মোটরস্ট্যাণ্ডে আয়োজিত শহিদ মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন ঘটছে৷ কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশে ত্রিপুরা এই মুহুর্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে৷ এক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ত্রিপুরার স্থান হচ্ছে ত’তীয়৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলেই ক’ষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে৷ এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে দারুনভাবে লাভবান হয়েছেন৷ এরফলে শেষ হয়েছে দালাল প্রথা৷ ক’ষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনায় ক’ষকদের কাছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের গরিব ক’ষকদের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার কিষাণ সম্মান নিধি চালু করেছে৷ ত্রিপুরার ক’ষকরাও এই প্রকল্পের সুুফল পাচ্ছেন৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২ লক্ষ ২২ হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের সুুবিধা পেয়েছেন৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২২৯ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রাজ্যের ক’ষক পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে গেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুুবিধা যাতে সরাসরি সুুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে জিরো ব্যালেন্সে জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে৷
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ এখন সুুবিধাভোগীদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির সুুফল দক্ষিণ জেলার জনগণ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরও বেশি করে অনুভব করতে পারবেন৷ সাবমে বিশেষ ইকোনমিক জোন গঠনের কাজ এগিয়ে চলেছে৷ এটি হয়ে গেলে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার মত ব্যবসা হবে৷ আগামী তিন চার বছরের মধ্যে সাবমের ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার৷ রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মরণে রেখে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে এন সি ই আর টি’র পাঠক্রম চালু হয়েছে৷ অনেক সুকলকে ইংরেজি মাধ্যম সুকলে রূপান্তরিত করা হয়েছে৷ অনুষ্ঠান শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী শহিদ পরিবারগুলির সদস্যদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন৷