স্টাফ রিপোর্টার, শান্তিরবাজার, ২১ ডিসেম্বর।। বাম আমলের শেষের দিকে ২০১৬-২০১৭ MGNREGA ফান্ড থেকে কৃষকদের চাষের জমিতে সেচের কথা চিন্তা করে শান্তিরবাজার মহকুমায় বগাফা আর.ডি ডিভিশান থেকে লাউগাং এডিসি ভিলেজের দোষ রাইয়া পাড়া ও বগাফা এডিসি ভিলেজের ধনি চন্দ্র পাড়াতে দুটি পুকুর খনন ও দুটি পাম্প হাউজ তৈরি এবং পাইপ লাইন বসানোর জন্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ করা হয়।সে মোতাবেক কাজও শুরু হয় এবং কাজের আই.ও(I.O) করা হয় ডিভিশানের Technical Assistant প্রকৌশলী অজিৎ রায়কে।
২০১৭ সালের তৎকালীন বাম নেতাদের বগলদাবা করে কাজে হাত দিলেও ২০১৮ সালে রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হলে এই আই.ও অজিৎ রায় গোপন লেনদেনের মাধ্যমে রাম নেতাদেরকে বগলদাবা করে আংশিক মাত্র কাজ করে প্রায় পুরো বিল হাপিজ করে নেন।বাস্তবে এই দুটি কাজ পরিদর্শন করলে দেখা যাবে ৬৫ লক্ষ টাকা তো দূরের কথা ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।লাউগাংসম এডিসি ভিলেজের সচিব অলক শীল বাস্তব কাজের চিত্রের বর্ননা দেন ক্যমেরার সামনে অন্যদিকে বগাফা এডিসি ভিলেজের ধনি চন্দ্র পাড়ার স্থানীয় কৃষকরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান যে চাষের জমিতে সেচের জন্য পাইপ লাইনতো দূরের কথা পুকুর সংস্কার করে পাম্প মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করেই কাজ সমাপ্ত করেন যা কৃষকদের কোন কাজেই আসছে না।
অফিস সূত্রে খবর ,এই দুটি সেচ প্রকল্পের অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে আর.ডি ডিভিশানের Executive Engineer উকেন্দ্র রিয়াং কাজের বাদ বাকী বিল আটকে দেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট প্রভাবশালী শাসক দলীয় নেতাকে কাজে লাগিয়ে অবিভক্ত দক্ষিন জেলার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারীক(উদয়পুর) S/E উপেন্দ্র জমাতিয়াকে উৎকোচ দিয়ে বাদ বাকী বিল করিয়ে নিতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে আগের বার যেমনটা করা হয়েছিল। এখন দেখার বিষয় দপ্তর এ ব্যপারে কি সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে।