অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নাটকীয়ভাবে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মহম্মদ আমির। তিনি জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যে ভাবে মানসিক অত্যাচার করে চলেছে, তা সহ্য করে তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সেই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, অবসরের সিদ্ধান্ত আমিরের একান্তই ব্যক্তিগত। ২৮ বছরের এই পেসার পাকিস্তানের একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ভিডিওয় ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “যেভাবে মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছি, তার পরে ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। আমার পক্ষে এখন এই মানসিক যাতনা সহ্য করা সম্ভব নয়। এর আগে ২০১০ এবং ২০১৫ সালেও আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে অনেকটা সময় আমি ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। নিজের ভুলের শাস্তি ভোগ করে ক্রিকেটে ফিরেছিলাম। কিন্তু আবার সেই এক ঘটনা শুরু হয়েছে। আমি তা মানতে পারছি না।” তিনি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পাক বোর্ডের দিকে। বলেছেন, “পিসিবি নিরন্তরভাবে আমার উপরে মানসিক চাপ তৈরি করে চলেছে।
এই চাপের মধ্যে ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। ফলে সরে গেলাম।”যদিও আমিরের সেই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরেই পিসিবি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। চিফ এগজিকিউটিভ ওয়াসিম খান বলেছেন, “আমির আমাদের জানিয়েছে ওর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ইচ্ছা নেই। ফলে ভবিষ্যতেও যেন ওকে দলে না রাখা হয়। এটা আমিরের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যাকে সম্মান জানাচ্ছে পিসিবি। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে পিসিবিও কোনও আলোচনা চায় না।” তবে অনেকেই মনে করছেন, গত বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না বলে আমির ঘোষণা করার পরেই টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
বিশেষ করে, পাক দলের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমির এখন পাঁচদিনের ক্রিকেট খেলতে চান না বলেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। না হলে তাঁর ফিটনেস সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। আমির সেই বক্তব্য নিয়ে পিসিবিকে নালিশ করেছিলেন,তবে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে ইউনিসের যুক্তিতেই সীলমোহর দিয়েছিল পিসিবি। তার পর থেকেই আমিরক নিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি হতে থাকে তিক্ততা। তা বুঝতে পেরেই আমির নিয়ে ফেলেন চরম সিদ্ধান্ত।