স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর।। রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বনজ সম্পদ ধ্বংস করে কাঠ পাচার অব্যাহত রয়েছে।এসব বনদস্যুদের বিরুদ্ধে বনদপ্তর এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকা থেকে সদর দফতরের কর্মীরা প্রচুর পরিমাণ কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
সংবাদ সূত্রে জানা যায় সদর বনদপ্তর এর কর্মকর্তাদের কাছে খবর আসে আনন্দ নগর এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণ কাঠ পড়ে রয়েছে।সেই সংবাদের ভিত্তিতে বনদপ্তর এর সদর বিভাগের কর্মীরা কাঠ উদ্ধারের জন্য অভিযানে যান।অভিযান চালাতে গিয়ে দক্ষিণ আনন্দ নগরের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হন বনদপ্তরের কর্মীরা। সেখান থেকে উদ্ধার করা কাঠ গুলি সদর বনদপ্তরের অফিসে নিয়ে আসা হয়। কাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই বনদস্যুরা ওই এলাকায় বনজ সম্পদ ধ্বংস করে কাঠ পাচার করে চলছিল।বনদস্যুদের বিরুদ্ধে বনদপ্তর কর্মীদের এ ধরনের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে সদর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য শুধুমাত্র দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকাতেই নয় বিভিন্ন এলাকায় বনদস্যুরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করে মূল্যবান কাঠ পাচার করে চলেছে। এর ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গুলি ক্রমাগত ধ্বংস হয়ে যেতে শুরু করেছে।
বনদপ্তর এর কর্মীরা এ ধরনের বনদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হচ্ছে না।একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে বনদপ্তর এ পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী না থাকার কারণেই তারা নিয়মিত টহল দিতে পারছেন না এবং বনজ সম্পদ বনদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
কাঠ পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বনদপ্তর এর অভিধান আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।উল্লেখ্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করে বনজ সম্পদ পাচার এর ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।এ ধরনের প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব না হলে আগামী দিনগুলিতে পরিবেশের ওপর মারাত্মক আঘাত নেমে আসতে বাধ্য হবে।