অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। পাঁচ বছর আগে মিসরে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ইতালির এক গবেষক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিল না ইতালির সরকার। তবে দীর্ঘ তদন্তের পর গত সপ্তাহে বেরিয়ে এসেছে, মিসরীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে হত্যা করে।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, জিলিও রিজেনি নামে ওই ইতালীয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গবেষণার কাজে মিসরে যান। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ছিলেন।
মিসরে কয়েক দশক ধরে ক্ষমতা থাকা হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভূমিকা রাখা বিক্ষোভকারী দলগুলো নিয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস পর রাজধানী কায়রোর এক মহাসড়কের পাশে লাশ পাওয়া যায় ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণের। তার শরীরে ছিল সিগারেট দিয়ে পোড়া দাগ, দাঁত ভাঙা এবং হাড়ে আঘাত।
এ ঘটনার পাঁচ বছর পর গত সপ্তাহে মিসরের চার নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ইতালির প্রসিকিউটর। দীর্ঘ তদন্তের পর বেরিয়ে আসে, অভিযুক্তরা রিজেনিকে অপহরণ করে এবং গোপন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। মিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর গোপন ডিটেনশন সেন্টার ব্যবহারের অভিযোগের এ প্রথম কোনো পূর্ণ তদন্ত চালানো হয়।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এর আগে হাজার হাজার মিসরীয় ভুক্তভোগী হয়েছিল ডিটেনশন সেন্টারে। পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর অভিযোগ আনা মিসরে এখন বিরল ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবদেল ফাতাহ আল সিসি সরকার অভিযুক্তদের সহজেই দায়মুক্তির ঘটনা ঘটছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিমত।
বেসরকারি সংস্থা ইজিপশিয়ান কমিশন ফর রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমসের পরিচালক মোহাম্মদ লুতফি বলেন, ‘রিজেনিকে হত্যা করতে তারা নতুন কিছু উদ্ভাবন করেনি। অনেক মিসরীয়র বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ও অনুশীলন তারা ব্যবহার করে, তার ক্ষেত্রেও সেটি ঘটেছে। এখন বেরিয়ে আসবে সেই যন্ত্র ও অনুশীলন মানুষকে গুম ও নির্যাতনের জন্য কীভাবে কাজ করে। ’