অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর।। বিয়ের এক মাস পেরোতে না পেরোতে স্বামীর রহস্যময় মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছিল মাথায় আঘাত লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর স্ত্রীর উপর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মৃত স্বামীর বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা। জানা গিয়েছে, ওই মৃত ব্যক্তি ছিলেন সমাজকর্মী। তাঁর নাম আদিত্য দাস।
তিনি ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে সামাজিক কাজকর্মের জন্যও তাঁর সুনাম ছিল। গত জুলাই মাসে রেললাইনের উপরে মেলে তাঁর মৃতদেহ। কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও তাঁর রহস্যময় মৃত্যুর কোনও কিনারা মেলেনি। বরং নিত্যনতুন বাঁক নিয়েছে তদন্ত। এই পরিস্থিতিতে বুধবার তাঁর স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টায় নতুন চমকের সৃষ্টি হল।
তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাই তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে জীবন শেষ করে দিতে চান। ফেসবুক লাইভে এসে একথা বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওড়িশার মৃত সমাজকর্মী আদিত্য দাসের স্ত্রী বিদ্যাশ্রী। তবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থাতে রয়েছেন ওই মহিলা।
গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন বিদ্যাশ্রী। একটি ডায়রি দেখিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তাতে সেই সমস্ত মানুষের নাম রয়েছে, যাঁরা নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করেছেন তাঁকে। তাঁর মৃত্যুর জন্য এঁরা সকলেই দায়ী থাকবেন। আইন মেনে তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেন তিনি।
সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর মৃত্যু তদন্ত যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, এই কামনাও করেন। এরপরই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলে দ্রুত তাঁকে এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের তৎপরতায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়। তবে এখনও তাঁর স্বামীর মৃত্যুর এই মামলার কোনও সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।