স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর।।নয়াকৃষি আইন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে কিছু রাজনৈতিক দল ও কিছু সংগঠন। সরকার পক্ষের দায়িত্ব জনগণকে এই নয়া কৃষি আইন সম্পর্কে অবগত করা। সেই মোতাবেক কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং অনেকগুলি রাস্তা বের করেছেন। ভারত বর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বলতেন ভারতবর্ষকে দেখতে হলে গ্রামে যেতে হবে।
এখনো দেশের ৭০ শতাংশ জনগণ কৃষির উপর নির্ভরশীল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতবর্ষ একটা ভালো জায়গায় রয়েছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান দেশ। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করার পর নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে হবে। তা থেকেই বুঝা যায় কৃষকদের লোকসান হবে এমন কোনো ধরনের কাজ বা আইন দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন না। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে প্রধানমন্ত্রী সয়েল হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন সেই প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের লোকসানের কথা ভাবতে পারেন না। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর কৃষকদেরকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে মিডেল ম্যান ও দালালদের হাত থেকে।
কৃষকদের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী এক দেশ এক বাজারের কথা বলেছেন। দেশের কৃষি দপ্তর ও খাদ্য দপ্তর সেই দিশাতে কাজ করছে। ৪০ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিআইএম শাসন করেছে। সেই সময় রাজ্যের কৃষকদের ধান বিক্রি করার কোন বাজার ছিল না। তখন স্লোগান ছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করতে হবে। রাজ্য নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এই মরশুমে সরকার ধান ক্রয় করেছে ১ হাজার ৮১৫ টাকা করে। সামনের মরশুমে আরো বেশি মূল্যে ধান ক্রয় করা হবে। আগে রাজ্যের কৃষকরা কল্পনাও করতে পারেনি যে, সরকার তাদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করবে।
এখন আর ধান বিক্রয়ের জন্য কৃষকদের এদিক-ওদিক ছুটতে হয় না। কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের ফলে এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের ২৭ হাজার ৭৩৫ জন কৃষক উপকৃত হয়েছে। ৮৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা রাজ্যের কৃষকরা পেয়েছে। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকরা এখনো পর্যন্ত ২২৯ কোটি টাকা পেয়েছে। এতে রাজ্যের ২ লক্ষ ২২ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছে। তার থেকেই বোঝা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার স্বপ্ন শুধু দেখেন নি, তা বাস্তবায়িতও করছেন। দিল্লিতে যারা আন্দোলন করছে তারা কৃষকদেরকে বিভ্রান্ত করছে।
তারা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা সম্পন্ন করছে। আগে বেশি পরিমাণে শাকসবজি, মাছ কিংবা মাংস বিক্রি করতে গেলে আরতদারদের কাছে যেতে হতো। আর আরতদাররা তার দাম নির্ধারণ করে দিতেন। বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আড়তদারের হাত থেকে কৃষকদেরকে মুক্ত করে দিয়েছেন। কৃষকরা এখন দেশের যেখানে খুশি তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবে। সোমবার নয়া কৃষি আইন নিয়ে প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।