অনলাইন ডেস্ক, ১২ ডিসেম্বর।। শীতকালে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যায়। বড়দের তুলনায় ছোটদের মধ্যে শীতকালে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেশি বেড়ে যায়। তাই এই সময় ছোটদের বিশেষ সাবধানে রাখা প্রয়োজন। শিশুদের শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না দেখা দেয় শীতকালে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
শিশুদের মধ্যে অসুস্থতা কমাতে শীতকালে কোনও কোনও খাবার একেবারেই খাওয়ানো ঠিক নয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জেনে নিন শীতকালে যে ৫ খাবার শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।
নোনতা ও তৈলাক্ত খাবার : শীতকালে শিশুদের ভাজাভুজি খাবার থেকে দূরে রাখুন। কারণ তৈলাক্ত খাবারের মধ্যে যে ফ্যাট এবং তেল থাকে তা মিউকাস ও স্যালাইভাকে আরও ঘন করে তুলতে পারে। মাখন এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবারও এই সময় শিশুকে বেশি দেবেন না। শীতে শিশুর ডায়েটে ভাজাভুজি যতটা সম্ভব কম রাখুন। শীতকালে শিশুর রান্না করার জন্য অ্যানিমেল অয়েলের বদলে ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করুন।
ক্যান্ডি : শিশুরা ক্যান্ডি প্রিয় হয় বেশি। কিন্তু জেনে রাখুন গরমকাল হোক বা শীতকালে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্যান্ডি সব সময়ই অত্যন্ত খারাপ। কারণ ক্যান্ডিতে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। শরীরে অতিরিক্ত চিনি থাকলে তা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমিয়ে দেয়। শ্বেত রক্তকণিকাই আমাদের নানা ধরনের সংক্রমণ এবং অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। তাই অতিরিক্ত চিনি খেলে শিশুদের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। যা শীতকালে আরও বেশি অসুবিধা তৈরি করে।
মেয়োনিজ : মেয়োনিজে থাকে প্রচুর পরিমাণে হিস্টামাইন। এই রাসায়নিক অ্যালার্জির হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু শীতকালে বেশি হিস্টামাইন খেলে শিশুর শরীরে বেশি মিউকাস উত্পন্ন হয়। এর ফলে গলা খুসখুস করা, গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেয়োনিজ ছাড়াও হিস্টামাইন থাকে টমেটো, অ্যাভোকাডো, বেগুন, মাশরুম, ভিনেগার, বাটারমিল্ক, আচার এবং যে কোনও ফারমেন্টেড ও কৃত্রিমভাবে সংরক্ষণ করা খাবারে।
ডেইরি পণ্য : যে কোনও প্রাণীজ প্রোটিন শীতকালে স্যালাইভা ও মিউকাসকে ঘন করে তোলে। এর ফলে শিশুদের ঢোক গিলতে অসুবিধে হয়। তাই শীতকালে শিশুদের দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে দূরে রাখাই ভালো। এই সময় শিশুদের চিজ, ক্রিম, ক্রিম মেশানো স্যুপ দেওয়া বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে তাদের সর্দি কাশির সমস্যা দেখা দিলে এই ধনের খাবারগুলো মোটেও দেবেন না।
মাংস : মাংসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন। শীতকালে প্রাণীজ প্রোটিন মিউকাস ঘন করে। যার থেকে শিশুদের গলা ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং ডিম এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ। শীতকালে শিশুদের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়াতে চাইলে বেশি করে মাছ এবং অর্গানিক মাংস খাওয়াতে পারেন।