অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে নেপাল। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে খুব সহজেই নেপালে যাতায়াত করা যায়। সেই সুযোগেই নেপাল ও উত্তরাখণ্ডের মানুষরা বিভিন্ন প্রয়োজনে নিয়মিতএক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকেন।
ভারতে যাতায়াতের এই সুযোগে নেপালের অনেক বাসিন্দাই ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করে নিয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে নেপালের মানুষ ভারতীয় আধার কার্ড দেখাচ্ছেন। গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই উদ্বেগ পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি জানানো হয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে। ভারতীয় আধার কার্ড দেখিয়ে নেপালের বাসিন্দারা যেভাবে নিয়মিত উত্তরাখন্ডে প্রবেশ করছেন তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন টনকপুরের মহকুমাশাসক হিমাংশু কলিতা। বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, সম্প্রতি নেপাল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে যারা উত্তরাখণ্ড প্রবেশ করছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই রয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড। ভারতের আধার কার্ড থাকায় নিরাপত্তা কর্মীরাও তাদের বাধা দিতে পারছে না। কিন্তু বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদজনক হতে পারে বলে কলিতা জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সাধারণত নেপাল থেকে নিয়মিত বেশকিছু মানুষ উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতে আসেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া শংসাপত্র দেখালেই নেপালিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউন খোলার পর নেপালের বাসিন্দাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাওয়া হলে তারা আর কোনও সংস্থার শংসাপত্র দেখাচ্ছে না। পরিবর্তে দেখাচ্ছে ভারতীয় আধার কার্ড। সাধারণত আধার কার্ড হল বসবাসের প্রমাণপত্র, তাই ওই আধার কার্ড দেখানোর ফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও তাদের আটকাতে পারছে না। কিন্তু নেপালিরা যেভাবে ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করে নিয়েছে তাতে টনকপুর প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে।