অনলাইন ডেস্ক, ৬ ডিসেম্বর।। প্রিয় শিষ্য মারা গেছেন ১১ দিন হয়ে গেল। কিন্তু ডিয়েগো ম্যারাডোনার অকাল প্রয়াণের খবর এখনো জানানো হয়নি কার্লোস বিলার্দোকে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার কোচের ভাই হোর্হে জানিয়েছেন, কে সেই খবর তাকে দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। গত কয়েক বছর ধরে স্নায়ুর জটিল রোগ হাকিম-অ্যাডামস সিনড্রোমে ভুগছেন তিনি। গত আগস্টে আবার করোনায় সংক্রমিত হন। কিছুটা সুস্থ হয়ে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে আনা হয়। চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশ, তার স্নায়ুতন্ত্রের ওপরে চাপ তৈরি যেন না হয়। হোর্হে বিলার্দো বলেছেন, ‘ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবরটা হয়তো মিডিয়ায় আরও কয়েক দিন থাকবে।
দুই দিন, চার দিন, বিশ দিন। যে কারণে ওকে (বিলার্দো) টিভি দেখতে দেওয়ার ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ও টিভিতে অনেক খেলা দেখে, বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে। ’ খবরটা বিলার্দোকে আস্তে-ধীরে জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন হোর্হে। ছিয়াশির বিশ্বকাপজয়ী কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এদের মধ্যে ডিফেন্ডার অস্কার রুগেরিও আছেন। ‘বেশ কয়েকজন মিলে ওর (বিলার্দো) সঙ্গে দেখা করতে যাব। সেখানেই আস্তে-ধীরে ওকে ব্যাপারটা জানানো হবে।
’শুধু ম্যারাডোনাই নন, এর আগে ছিয়াশির বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা আর্জেন্টাইন লেফটব্যাক হোসে লুইস ব্রাউন যখন মারা যান, সে খবরটাও বিলার্দোকে দেওয়া হয়নি। খেলোয়াড়ি জীবনে মিডফিল্ডার হিসেবে বিলার্দো খেলেছেন সান লরেঞ্জো, দেপোর্তিভো এস্পানিওল ও এস্তুদিয়ান্তেসে। আর্জেন্টিনা ছাড়াও কোচ ছিলেন কলম্বিয়া, লিবিয়া ও গুয়াতেমালার। তা ছাড়া সেভিয়া, এস্তুদিয়ান্তেস, বোকা জুনিয়র্সেরও কোচ ছিলেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে বুয়েনস আয়ার্সের এক নার্সিংহোমে বসবাস করছেন ৮২ বছরের বিলার্দো। ২০১৯ সালে হাকিম-অ্যাডামস সিনড্রোম দেখা দেয় তার মধ্যে।