নতুন প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ রাতের আধারে দীর্ঘ ৪৫ বছরের পুরানো কংগ্রেসের দলীয় অফিস পুলিয়ে দিলো দুষৃকতীরা৷ অভিযোগের তীর শাসক দল বিজেপির দিকে৷ পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকায়ও ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ ঘটনা কুমারঘাটের সোনাইমুড়ি বাজারে৷ বিধবংসী অগ্ণিকাণ্ডে পুড়লো দীর্ঘ ৪৫ বছরের পুরানো কংগ্রেসের দলীয় অফিস৷ খবর পেয়ে রাতেই দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ এদিকে শুক্রবার সকালে অগ্ণিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় অফিস পরিদর্শনে যান সোনাইমুড়ি যুব কংগ্রেস সভাপতি পুজন বিশ্বাস৷ সাথে ছিলেন এএসইউআই এর রাজ্য সহ সভাপতি রাখু দাস, প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক চূড়া চাঁদ শর্মা, পাবিয়াছড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অসিত দেব সহ অন্যান্য স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ তারা খতিয়ে দেখেন গোটা ঘটনা৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এদিন যুব কংগ্রেস সভাপতি পুজন বিশ্বাস জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই এই অগ্ণিসংযোগের ঘটনা৷ বর্তমানে কংগ্রেস গোটা রাজ্যে শক্তিশালী হচ্ছে৷ সে কারণেই ঈর্ষান্বিত হয়ে এই বদ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেছে৷ তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমানে কংগ্রেস গোটা রাজ্যে শক্তিশালী হচ্ছে, আর তাতেই এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত করছে দুষৃকতীরা৷ এই ঘটনার পেছনে শাসক দলের লোকজন জড়িত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুব কংগ্রেস সভাপতি পুজন বিশ্বাস৷ এই কংগ্রেস অফিসটি দীর্ঘবছরের পুরনো৷ আর এই অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বেই সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে শাসকদলীয় অফিস৷ কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি-র অফিস তৈরি করার সময়ই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল পাশাপাশি দুটি দলীয় অফিসের অনুমতি না দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু শাসকের দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ প্রশাসন এদিন শাককের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের সাহস দেখাতে পারেনি৷ যার কারণেই এই অগ্ণিসংযোগের ঘটনা বলে অভিযোগ পূজন বিশ্বাসের৷ এক কথায়, এদিন এই ঘটনার কারণ হিসাবে পুলিশ প্রশাসনকেও অভিযোগের কাঠগড়ায় তুললেন যুব কংগ্রেস সভাপতি৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অফিসে এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি তারা ঘটনার বিবরন জানিয়ে কুমারঘাট থানায় মামলাও দায়ের করেছেন ৷ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি করেন নেতৃত্ব৷