স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ৪ ডিসেম্বর৷৷ এম্বুলেন্সে তেল নেই শেষ পর্যন্ত মধুপুর হাসপাতালের ডাক্তার পূজা সাহা এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক সমীর প্রসেন কে দায়ী করলো মৃত রোগীর পরিবার৷ আর তা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় মধুপুর এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত তিন দিন পূর্বে মধুপুর হাসপাতাল চৌমুহনী এলাকায় সেন্টু দাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়৷
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অবস্থার অবনতি হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পূজা সাহার কাছে আকুলভাবে আবেদন রাখে৷ সেন্টু দাস কে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও রেফার করার জন্য কিন্তু ডাক্তার পূজা সাহা সাফ জানিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্স এর মধ্যে তেল নেই৷ সেই কারনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি৷ পরবর্তী সময়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক সমীর হোসেন জনগণের সাথে প্রতারণা করে৷
পরবর্তী সময়ে জনগণের চাপে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক এম্বুলেন্স নিয়ে আসলে এলাকার উত্তেজিত জনতা দেখতে পায় সেই গাড়ির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তেল রয়েছে৷ যদিও পরবর্তী সময়ে সেই গাড়ি দিয়ে তাকে হাপানিয়া হাসপাতালে পাঠায়৷ কিন্তু এখন পরিবারের বক্তব্য হল প্রায় তিন ঘন্টা অতিক্রম হলো সেখানে না রেখে যদি দ্রুত তাকে পাঠানো হতো হৈতু সেন্টু দাস বেঁচে যেত এবং চিকিৎসার পরিসেবা পেয়ে যেতো৷
যার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেল বেলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেন্টু দাস৷ তার পরিবারের অভিযোগ করেন ডাক্তারের অবহেলা এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক পূজা সাহা এবং সমীর হোসেনের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে৷ আগামীকাল ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স চালর্কে বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে৷