অনলাইন ডেস্ক, ৩ ডিসেম্বর।। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ যোগানের দায়ে অভিযুক্ত পিএফআইয়ের একাধিক নেতার বাড়িতে ও সংগঠনের অফিসে তল্লাশি চালাল ইডি। একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে মোট ২৬ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলে। এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হওয়ার হিংসাত্মক ঘটনা থেকে শুরু করে উত্তর পূর্ব দিল্লির সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনায় আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া নামে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। হাথরাসের ঘটনাতেও জড়িয়েছিল পিএফআইয়ের নাম। ঘটনার জেরে ওই সংগঠনের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
যোগী আদিত্যনাথ সরকার ওই সংগঠনের একাধিক সদস্যের নাম ও ছবি প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে নেমে দিল্লি-সহ দেশের রাজ্যের ২৬টি জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন কেরলের কোচি, মাল্লাপুরম ও তিরুবনন্তপুরম-সহ ৬টি জায়গায়, তামিলনাড়ুর চেন্নাই, মাদুরাই-সহ ৫টি জায়গায়, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ, কর্নাটকের বেঙ্গালুরু, দিল্লির শাহিনবাগ, উত্তরপ্রদেশে লখনউ, বিহারের দ্বারভাঙা, পূর্ণিয়া, রাজস্থানের জয়পুর, মহারাষ্ট্রের ঔঙ্গাবাদে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ওএমএ সালাম এবং সর্বভারতীয় সম্পাদক নাসিরউদ্দিন এলারামের অফিসেও তল্লাশি করে হয়।
জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের আইডিবিআই ব্যাঙ্কের তিনটি কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়েছে। গ্রাহক ও কর্মচারীদের টানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যথারীতি পিএফআই এই তল্লাশির তীব্র নিন্দা করেছে। সংগঠনটি মনে করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই কেন্দ্র ইডিকে ব্যবহার করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ইডিকে কাজে লাগিয়েছে কেন্দ্র। সংগঠনের চেয়ারম্যান সালাম টুইট করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার সবদিক থেকেই ব্যর্থ। প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে এখন তারা জেরবার। কৃষক আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই তারা এই অভিযান চালাচ্ছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক হাতিয়ার তৈরি করেছে বিজেপি। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ নিলেও ন্যায়ের জন্য আমরা যে লড়াই করছি সেখান থেকে সরে আসব না।