স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর।। স্কুল-কলেজ খোলার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি মিলেছে। তাই, ত্রিপুরায় ৭ ডিসেম্বর থেকে সরকারী বিদ্যালয়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী এবং সরকারী ও বেসরকারি ডিগ্রী কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় পুরোদমে খুলছে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, গত ২৬ নভেম্বর শিক্ষা দপ্তর ও উচ্চ পর্যায়ের কমিটির যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ ওই বৈঠকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছিল৷ তাতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সকল সদস্যরাই আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি বিদ্যালয়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী এবং সমস্ত ডিগ্রী কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় পুরোদমে চালু করার পক্ষেই সম্মতি দিয়েছিলেন৷
তবে, করোনার প্রকোপের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা দপ্তর স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে এই বিষয়ে সম্মতি চেয়েছিল৷ অনুমতি পেতে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। তাই, ১ ডিসেম্বরের বদলে ৭ ডিসেম্বর থেকে দশম ও দ্বাদশে স্কুল এবং সমস্ত কলেজ পুরোদমে চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। ভবিষ্যতে করোনা-র প্রকোপ বাড়লে নতুন করে বিবেচনা করা হবে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, এডিসি এলাকায় নেইবারহুড ক্লাস যথারীতি চলবে৷ তাছাড়া বিদ্যালয় এবং কলেজগুলির ক্ষেত্রে প্রধানশিক্ষক ও অধ্যক্ষরা পরিচালনগত সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তবে, বিদ্যালয়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সম্মতিপত্র বাধ্যতামূলক বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, কলেজের ক্ষেত্রে অভিভাবক-দের সম্মতি পত্রের প্রয়োজন নেই। কিন্তু, স্কুল-কলেজে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরিধান এবং হাত ধুয়া নিয়ম মেনে করতে হবে।