নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর।। সংস্কারের অভাবে ত্রিপুরায় ডেমু ট্রেন পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত ৪ অক্টোবর ঘটা করে সূচনা হয়েছিল পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের ডেমু ট্রেনে যাত্রী পরিষেবা। কিন্তু প্রায় তিন মাসের মাথায় আগরতলা-সাব্রুম এবং সাব্রুম-ধর্মনগর উভয়দিকের ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে। নিয়মমাফিক ডেমু ট্রেন ৬০ দিন অন্তর সংস্কার করা অতি আবশ্যক। কিন্তু, টানা চলাচলের পরেও পরিকাঠামোর অভাবে প্রায় তিন মাস ধরে কোন সংস্কার হয়নি। ফলে, বন্ধ করতে হয়েছে ট্রেন চলাচল। স্বাভাবিকভাবেই, লোকাল ট্রেনে যাত্রী ভিড় সামলানো দায় হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। ত্রিপুরার পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব এল. ডারলং জানিয়েছেন, সংস্কারের জন্য আপাতত ডেমু ট্রেন পরিষেবায় ব্যহত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে যাত্রী স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। লোকাল ট্রেন আগরতলা-সাব্রুম রুটে উভয়দিকে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে।<br>
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসমের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরায় ডেমু পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার না হওয়ায় ওই ট্রেনের রেকগুলি এখন ডেমু শেডে পরে রয়েছে। ত্রিপুরায় ডেমু শেড রয়েছে ঠিকই কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর ভীষণ অভাব রয়েছে। নিয়মমাফিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেমু রেকের মেরামতি করতেই হবে। তা না-হলে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। রেলের জনৈক আধিকারিকের কথায়, প্রয়োজন মতো ডেমুর সরঞ্জাম বদল না হওয়ায় ওই ট্রেনগুলি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাঁর বক্তব্য, শিলিগুড়ি ছাড়া পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের আর কোথাও ডেমু ট্রেন মেরামতির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। স্বাভাবিকভাবেই, ত্রিপুরায় ডেমু শেড রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাতে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি এবং অন্য উপাদান নেই। ফলে, ১২ কোচের দুইটি ডেমু রেক আগরতলা স্টেশনে পড়ে রয়েছে।
ত্রিপুরার পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব এল. ডারলং জানিয়েছেন, ডেমু রেক মেরামতির জন্য লামডিং থেকে অতিরিক্ত কর্মী এসেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে সংস্কার কাজ চলছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সামগ্রীর এভাবে ব্যহত হচ্ছে সংস্কার কাজ। নিয়মিত সংস্কার ছাড়া ডেমুর টানা চলাচলে সবচেয়ে বেশি বেশি ক্ষতি হয়েছে চাকায়। তাই, এখন চাকা বদলের কাজ চলছে। রেলওয়ে আধিকারিকের কথায়, ৬টি কোচের চাকা বদল হয়ে গেছে। বাকি ছয়টি কোচের চাকা বদল হলে একটি রেক চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। তাতে, আরো ৩-৪ দিন সময় লাগবে সংস্কার কাজ সমাপ্ত হতে। কিন্তু, দ্বিতীয় রেকের সংস্কার কাজ সমাপ্ত হতে অন্তত দশ দিন সময় লাগবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই, ডেমুর নিয়মিত পরিষেবা শুরু হতে অনেকটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।