অনলাইন ডেস্ক, ১ ডিসেম্বর।। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মসের নৌসেনা সংস্করণ নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ করল বঙ্গোপসাগরে। মঙ্গলবার সকালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছেই আইএনএস রণবিজয় থেকে নৌসেনা সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের উৎক্ষেপণ করা হয়। সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মস। শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুতগামী ব্রহ্মস পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শুরুতে এর পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। ২০১৬-তে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমে বা এসটিসিআরের সদস্য হওয়ার পর রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই মিসাইলের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিমি করা হয়। মঙ্গলবার, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছেই আইএনএস রণবীজয় থেকে নৌসেনা সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের উৎক্ষেপণ করে। দ্রুত ৩০০ কিলোমিটারের দূরে উড়ে যায় ডিআরডিও-র তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি। বঙ্গোপসাগরের কার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ছিল একটি জাহাজ। কয়েক মিনিট পরই সেই জাহাজে গিয়ে আঘাত করে ব্রহ্মস।
মুহূর্তে উড়ে যায় জাহাজটি। কোনও যুদ্ধ নয়, এটা ছিল ডিআরডিও-র তৈরি ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জলে থাকা লক্ষ্যবস্তুর পরীক্ষা। ধ্বংস হওয়া জহাজটি ছিল নৌবাহিনীরই একটি পুরোনো জাহাজ। গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশপথে সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে বঙ্গোপসাগরে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করে সফল পরীক্ষা করে। ব্রহ্মস বহনে সক্ষমতা বাড়াতে বায়ুসেনা ৪০টি সুখোই ফাইটার জেটকে আপগ্রেডেশন করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লাদাখে এই গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মসের পরবর্তী পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে বঙ্গোপসাগরের পরে আরব সাগরকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিআরডিও।