স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩০ নভেম্বর।। গ্রাম পাহাড় নির্বিশেষে সব জায়গা থেকে যাতে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে খেলাধূলায় পেশাদারি মনোভাব গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ আজ বৃহত্তর পরিসরে আগরতলার এন এস আর সি সি স্পোর্টস কমপ্লেে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ক্রীড়া ক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রসার ও প্রচারের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এই কর্মসূচিতে রাজ্যের খেলোয়াড়রা যাতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আজ এখানে আধুনিক সুুবিধাযুক্ত স্পোর্টস কমপ্লেক্স’র দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে৷ এই স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণে এখন পর্যন্ত ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে৷
তিনি রাজ্যের খেলোয়াড়দের এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পূর্ণাঙ্গ সুুযোগ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, ১৯৭৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় এন এস আর সি সি-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিলো নেতাজী সুুভাষ চন্দ্র বসুুর নামে৷ সেই অনুযায়ী স্পোর্টস কমপ্লেক্সও গড়ে উঠেছিলো৷ কিন্তু দেশের বীরসেনানী, স্বাধীনতা সংগ্রামী সুুভাষ চন্দ্র বসুুর মূর্তি বসানোর জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ অথচ আনাচে কানাচে অনেক মূর্তি বসেছে৷ আজ এখানে নেতাজী সুুভাষ চন্দ্র বসুুর মূর্তি বসানো হয়েছে৷ এতদিন পর্যন্ত যে নেতাজীর মূর্তি বসানো হয়নি তার একটাই কারণ, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা৷ এটা অত্যন্ত দুঃখজনক৷
আজ সমাজ পরিবর্তন, চিন্তার পরিবর্তন ও মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে বলেই এখানে এই মূর্তি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, খেলাধূলায় কোনও ধরণের দলবাজি বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না৷ তিনি রাজ্যের গর্ব পদ্মশ্রী দীপা কর্মকারের উদাহরণ টেনে বলেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা জারি রেখেছে যাতে করে দীপা কর্মকারের মতো আরও খেলোয়াড় রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন৷ এক্ষেত্রে রাজ্যের শারীর শিক্ষকদেরকে আরও বেশি করে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হবে৷
রাজ্যের উদীয়মান প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বিকশিত করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি৷ রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে খেলাধূলার প্রসার ও প্রচারেও তাদেরকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব আরও বলেন, শুধু ক্রীড়া ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও রাজ্য সমানভাবে এগিয়ে চলছে৷ সাম্পতিক ইণ্ডিয়া টুডের বিচারে ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে ক’ষির উন্নতিতে ত্রিপুরা প্রথম সারিতে রয়েছে৷ এটা ক’ষি ক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্য৷ এই কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্য এই সাফল্য অর্জন করেছে৷ এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷