অনলাইন ডেস্ক, ২২ নভেম্বর।। থানায় তুলে এনে বছর পঁচিশের এক যুবককে বেধড়ক মারধোর করেছিল পুলিশ। এমনকি গোটা একটা দিন থানায় তাঁকে আটকেও রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই যুবক বাজারের মধ্যে এক মহিলা কনস্টেবলকে কটূক্তি করেছেন। তার আগে ভরা বাজারেও অভিযুক্তকে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন ওই মহিলা কনস্টেবল।
ঘটনাস্থলে থাকা ওই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গী পুলিশকর্মীটিও যুবককে ব্যাপক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অপমানিত, লাঞ্ছিত ওই যুবক শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। চরম পদক্ষেপ করার আগে সুইসাইড নোটে ওই মহিলা কনস্টেবেল ও তাঁর সঙ্গী পুলিশকর্মীকে দায়ী করে যান যুবক। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের হরগাঁও থানা এলাকার এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই যুবকের নাম প্রভাস তিওয়ারি। বুধবার হরগাঁও মার্কেট এলাকার ঘটনাকে কেন্দ্রে করে মহিলা কনস্টেবল প্রভাসের বিরুদ্ধে ‘হেনস্থা’র অভিযোগও দায়ের করেছেন। মহিলা পুলিশকর্মীর অভিযোগ, তাঁর উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন ওই যুবক। হরগাঁও থানার পুলিশ স্বীকার করেন প্রভাস তিওয়ারিকে একদিন থানায় আটকে রাখা হয়েছিল।
পরদিনই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুইসাইড নোটে যুবক লিখে যান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা কনস্টেবল ও তাঁর সঙ্গী পুলিশকর্মী। মিথ্যে অভিযোগে তাঁকে ‘অপদস্থ’ করা হয়। যুবকের কথা অনুযায়ী, তিনি বন্ধুর বাইকের পিছনে চেপে যাচ্ছিলেন। মার্কেটের সামনে বন্ধুর এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা হলে, তিনি তাঁকে লিফট দেওয়ার কথা বলেন।
কিন্তু, ওই মহিলা কনস্টেবল ধরে নেন, তাঁকেই বাইকে লিফট দেওয়ার কথা বলেছেন ওই যুবক। প্রভাস আরও লেখেন, ওই কনস্টেবল বাইক দাঁড় করিয়ে তাঁকে চড়থাপ্পড় মারেন। আর এক পুলিশকর্মীকে ডাকলে, তিনি এসেও মারধর করেন। তাঁর কোনও কথাই শোনা হয়নি। উলটে বন্ধুটিকেও মারধর করা হয়েছে। এর পর থানাতে তুলে এনেও আর একপ্রস্থ মারধর করা হয়েছে।
সুইসাইড নোটের এক জায়গায় ওই যুবক লিখেছেন, জীবনে এমন অপদস্থ আগে কখনও হইনি। এই ঘটনায় বিমর্ষ তিওয়ারি শুক্রবার রাতে বাড়িতে বিষপান করেন। জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে লখনউইয়ের কিং জর্জ’স মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। লখনউয়ে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান প্রভাস তিওয়ারি।