আগরতলা, ১০ মার্চ : রাজধানী আগরতলা শহরের বটতলায় শ্যামশ্রী রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় তলায় এক ব্যবসায়ী যুবকের মৃতদেহ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই যুবককে খুন করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে পশ্চিম আগরতলা থানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে মৃতের পরিজন সহ এলাকাবাসীরা। পুলিশকে রীতিমত ধমকানো হয়েছে খুনের মামলা নিতে। যদিও পুলিশ অভিযুক্ত যুবক তথা এডি নগর এলাকার বাসিন্দা সুদীপ ঘোষকে থানায় আটক করে রেখেছে। নিহত ব্যবসায়ী যুবকের নাম জয়দেব দত্ত। তাঁর বাড়ি নরসিংগড়ে।
জানা গিয়েছে, শ্যামশ্রী রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় তলায় টেইলারের দোকান। এখানেই জয়দেব এবং সুদীপ যৌথ মালিকানায় ব্যবসা করেন। রবিবার রাতে দোকানের মধ্যেই জয়দেবের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে যায় পশিচম আগরতলা থানার পুলিশ থেকে শুরু করে মৃতের পরিজনরা। নিহতের পরিজনদের দাবি সুদীপই খুন করেছে জয়দেবকে। খুনের পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা সাজানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু যেভাবে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়।
মৃতদেহ উদ্ধারে বটতলা ফাঁড়ি এবং পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ ছুটে গেলে প্রথমে সুদীপ জানায়, জয়দেব দু’জনের কাছ থেকে ৪ এবং ৫ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না। এছাড়া বাড়িতেও অনেক সমস্যা চলছিল। বাড়িতে মন খারাপ করে থাকতেন তিনি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটা খুন না আত্মহত্যা।
এদিকে, মৃতের পরিজনরা জানান, সুদীপ খুন করে এখন এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে চাইছে। খুনের অভিযোগ এনে বিচার চেয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় থানার সামনে। পুলিশ অনেক বললেও তাদের কথা মানতে নারাজ নিহতের পরিজনরা। তাদের দাবি, ঋণের জন্য আত্মহত্যা করবে জয়দেব এমন কিছুই ছিল না। বাড়িতেও স্বাভাবিক ছিলেন। আত্মহত্যা করবেই কেন? এই ঘটনায় পুলিশকে খুনের মামলা নিতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।