বক্সনগর, ২৪ ফেব্রুয়ারি : পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় অবশেষে অপহৃত নাবালিকা উদ্ধার। সিপাহীজলা জেলার যাত্রাপুর থানার ওসি সুব্রত দেবনাথ ও তার সহকর্মীরা যৌথ অভিযানে অমরপুর মহকুমার একটি গোপন স্থান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তবে মূল অভিযুক্ত ওমর ফারুক এখনও পলাতক।
জানা গিয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঁশপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার আবুল কাশেমের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পরও ফিরে না আসায় পরিবারের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি। একপর্যায়ে পরিবারের সন্দেহ হয় যে, বড় নারায়ণের বাসিন্দা ওমর ফারুকের সঙ্গে মেয়েটি পালিয়েছে। পরদিন তথা ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা যাত্রাপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় সোনামুড়া এসডিপিও অফিসেও তারা অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ পাওয়ার পর যাত্রাপুর থানার পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠায়। তদন্তে উঠে আসে, অপহৃত নাবালিকা অমরপুর মহকুমার এক গোপন স্থানে রয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরের আগে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
যাত্রাপুর থানার ওসি সুব্রত দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করি। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠিয়ে সম্ভাব্য অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। অভিযুক্তকে খুব দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। সোমবার দুপুরে যাত্রাপুর থানায় মেয়েটির বাবা-মা ও আত্মীয়রা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাব-ইন্সপেক্টর রুমি আক্তার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে সোনামুড়ার এসডিপিও শশীমোহন দেববর্মাও থানায় আসেন। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়ের বিয়ে আইনত অবৈধ। এই ঘটনায় শুধু মেয়েটি নয়, পরিস্থিতিও অনেকাংশে দায়ী। এখন সন্তানের পাশে দাঁড়ানো ও তাকে সঠিকভাবে বোঝানো জরুরি।
পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ওমর ফারুক পলাতক এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চলছে। পুলিশের ধারণা, সে আত্মগোপনে রয়েছে এবং দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও সমাজে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।