কুমারঘাট, ১৮ ফেব্রুয়ারি : সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের চিটাগাঙবস্তি এলাকার পান চাষীরা। পানের বরজে নেই সেচের ব্যাবস্থা। ফলে মার খাচ্ছে উৎপাদন। চাষীরা চাইছেন তাদের চাষবাসের সুবিধার্থে সহায়তার হাত যাত বাড়িয়ে দেয় সরকার।
পান উৎপাদনে মার খাচ্ছে কুমারঘাট চিটাগাঙবস্তি এলাকার পান চাষীরা। পানের বরজ ধুঁকছে সেচের অভাবে। ফসল উৎপাদনে সমস্যায় পড়ছেন চাষীরা। উৎপাদন কম হওয়াতে বাজারে আকাশছোঁয়া হচ্ছে পানের দাম।
ত্রিপুরার অর্থকরী ফসলের মধ্যে পান অন্যতম। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদন হয়ে এই পান। তবে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের চিটাগাঙবস্তি এলাকা এই পান চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। ত্রিপুরার রাজধানী শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হয় কুমারঘাটের এই পান। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকাই নির্ভর পান চাষের উপর। অথছ সেই পান চাষীরা চাষের ক্ষেত্রে সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে তাদের অভিযোগ।
এলাকার তপন দে নামের এক পানচাষী জানান, দুই শতাধিক পরিবারের একমাত্র উপার্যনের মাধ্যম এই পান চাষ। কিন্তু বর্তমানে তাদের রোজগারে টান পড়েছে অনেকটাই। পানের বরজে উপযুক্ত ফলনের জন্য প্রয়োজন সঠিক সেচের। কিন্তু জমির কাছে সেচের ব্যাবস্থা না থাকায় এই শুখা মরসুমে জমিতে ব্যাহত হচ্ছে সেচ। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাঘাত ঘটছে উৎপাদনে। আর এর জেরে বরজেই নষ্ট হচ্ছে পান। বাজারেও বৃদ্ধি পাচ্ছে পানের দর।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, বাজারে পান বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের জন্য নেই কোন শেডঘর। ফলে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়েই উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে হচ্ছে তাদেরকে। তিনি দাবি জানান পানের সঠিক উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত সেচের ব্যাবস্থা করুক সরকার। উৎপাদন বাড়লে বাজারেও কমবে পানের দর। উপকৃত হবেন পান চাষী থেকে ক্রেতা সাধারণও।
এদিকে এলাকার আরোও এক পান চাষীও তুলে ধরলেন তাদের হতাশার কথা। তিনি জানান, চলতি শুখা মরসুমে পানের বরজে জল দিতে না পারায় বড় পান দেওয়া যাচ্ছে না ক্রেতাদের। গাছে আসছেনা নতুন পানও। তিনি অভিযোগ করেন শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পানের। সরকারীভাবে তারও কোন সহায়তা আজ পর্যন্ত পাননি চাষীরা। তিনি দাবি জানান সরকারী সহায়তার।