আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : চাকরি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পাঁচজন এবং পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে দুইজন গ্রেফতার। জানা গেছে রবিবার ছিল ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলডিসি এবং এমটিএস পদে পরীক্ষা। পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চেকিং এর দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা চলাকালীন যখন শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের চেকিং করছিলেন তখন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের সময় ধরা পড়ে।
তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মৃন্ময় বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস, মিটন মন্ডল, হরিয়ানার রাজবীর সিং এবং রাহুল কুমারকে শিক্ষকরা দেখেন তারা তাদের জুতোর ভেতরে মোবাইল লুকিয়ে সেখান থেকে তারা ব্লুটুথ এর মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করছে। সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষকরা তাদের উত্তরপত্র নিয়ে নেয় এবং তাদেরকে এই পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়। পরীক্ষা হলে শিক্ষকরা চেকিং করতে গেলে আরো দেখতে পান রেজিস্ট্রেশনে লিপিবদ্ধ থাকা দুইজন পরীক্ষার্থীর সাথে কোনভাবেই মিল নেই পরীক্ষা দিতে আসা দুই পরীক্ষার্থীর। সঙ্গে সঙ্গেই বিহারের পঙ্কজ কুমার এবং রাজস্থানের রামবীর মিনাকে শিক্ষকরা জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করে যে তারা অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে।
পরে রবিবার রাতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা পাঁচজন এবং অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসা দুইজনকে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমতলি থানায় লিখিত আকারে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমতলি থানার পুলিশ রবিবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
আমতলি থানার ওসি হিমাদ্রি সরকার জানান, সোমবার বিকেলে অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষার্থীদের ধারণা ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হলে এই ধরনের ঘটনায় কোন এক চক্রের মদত রয়েছে। তবে সবাই ধারণা করছে আমতলি থানার পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ডকে জালে তোলা সম্ভব।