আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরায় ভেজাল ঔষধ বিক্রি রোধে ঔষধের নমুনা সংগ্রহ, তদন্ত কৌশল এবং প্রসিকিউশনের উদ্বোধন শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা, ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার কাঞ্চন সিনহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
রাজ্যে ভেজাল ঔষধ বাজারজাতকরণ রোধের উপর গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ভেজাল ঔষধ শনাক্তকরণের প্রথম পর্যায় হল সেম্পল কালেকশন বা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা। আর এই ক্ষেত্রটি নিয়ে সোমবার প্রজ্ঞা ভবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ঔষধের নমুনা সংগ্রহ, তদন্ত কৌশল এবং প্রসিকিউশনের উদ্বোধন শীর্ষক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার কাঞ্চন সিনহা।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার কাঞ্চন সিনহা জানান, রাজ্যে যাতে ভেজাল ঔষধ বিক্রি রোধ করা সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ভেজাল ঔষুধ শনাক্তকরণের প্রথম এবং প্রধান উপায় হল সেম্পল কালেকশন বা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা। এই সংগ্রহ করা নমুনা ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এর জন্য স্টেট ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই উদ্যোগ ঔষধের টেস্টিং কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটি দুটোই বাড়বে। পাশাপাশি স্টেট ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরীকে এনএবিএল এক্রিডিশনের কাজ চলছে। এনএবিএল অনুমোদন পেলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরার স্টেট ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরী প্রথম এনএবিএল অনুমোদন প্রাপ্ত ল্যাবরেটরী হবে।