সাব্রুম, ১০ ফেব্রুয়ারি : ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাবৃত্তি হাফিজের চেষ্টার অভিযোগ করণিকের বিরুদ্ধে। নিজের মেয়ের নামে এই বৃত্তি হাপিজের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের হরিণা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে।
ডঃ বি আর আম্বেদকর মেধা সন্মাননা একটি রাজ্য সরকারের প্রকল্প। এই প্রকল্পে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পাওয়া তপশিলি জাতি শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে ৪০০ টাকা, ৭০০ টাকা ও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৫০০ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।
সাব্রুম মহকুমার হরিণা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের করনিক শ্রীবাস ভৌমিক নিজের মেয়ে যে কিনা আগরতলার অন্য একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে তার নাম মেধাবৃত্তির তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর ফন্দি আঁটেন। কিন্তু মেধাবৃত্তির তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নজরে আসে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর নাম এবং তার বাবার নাম শ্রীবাস ভৌমিক। কিন্তু এই নামে একাদশ শ্রেণিতে এই স্কুলে কোন ছাত্রী নেই।
পরবর্তীতে শিক্ষক শিক্ষিকারা জানতে পারেন বিদ্যালয়ের করনিক শ্রীবাস ভৌমিকের মেয়ের নামই এই মেধাবৃত্তি তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সে এই স্কুলের ছাত্রী নয়। হরিণা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি সম্পর্কিত যাবতীয় ফাইলপত্র করণিক শ্রীবাস ভৌমিক পরিচালনা করতেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ এর পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ।