সাব্রুম, ৪ ফেব্রুয়ারি : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের মৈত্রী সেতু এবং তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট মঙ্গলবার পরিদর্শনে আসেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে তিনজন বিদেশি প্রতিনিধি ছিলেন। যাঁরা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন। সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) ও মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দলটি ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে আগরতলায় আসে এবং মঙ্গলবার দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক স্মিতা মল ও পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিনহার নেতৃত্বে তাঁরা সাব্রুম আইসিপি ও মৈত্রী সেতুতে যান। সফরকালে তাঁরা স্থলবন্দর ও সেতুর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। পরে সাব্রুম আইসিপির কনফারেন্স হলে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে আইসিপির অবকাঠামো, সৌন্দর্যায়ন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি তথা এলপিআই-এর ত্রিপুরা জোনের জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী জানান, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা সাব্রুম আইসিপি ও মৈত্রী সেতুর উন্নয়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নবীনপাড়ায় এই আইসিপি গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, মৈত্রী সেতু তৈরি হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা যে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে।
এই সফরে জেলা শাসক স্মিতা মল, পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিনহা, এসডিএম শিবজ্যোতি দত্ত ও এসডিপিও নিত্যানন্দ সরকার, আইসিপি আধিকারিক বিশ্বমিত্র দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি সাব্রুমের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব উপলব্ধি করেন এবং এই প্রকল্পগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেন।