আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর : খ্রীস্টান ধর্মের অনুসারীদের অন্যতম বড় উৎসব হচ্ছে খ্রীস্টমাস ডে যা বড়দিন নামেও পরিচিত। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসেবে উদযাপন করা হয় বিশ্ব জুড়ে। অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১১টা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার গির্জায় বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রর্থনার আয়োজন করা হয়।
রাজধানী আগরতলার কাছে কাশিপুর এলাকার ত্রিপুরার সবচেয়ে প্রাচীন মরিয়মনগর গির্জাতেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নানা বয়সী মানুষ এখানে আসেন প্রার্থনা করার জন্য। বিশপ লুমেন মন্টেরো প্রার্থনা করান ও বাইবেলের বাণী পাঠ করে শুনান। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে গির্জা প্রাঙ্গনে। স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত চলে সমবেত প্রার্থনা। তারপর শিশু যীশুর একটি প্রতিকৃতি নিয়ে রাখা হয় গির্জা প্রাঙ্গনে। যেখানে পুতুলসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে যীশুর জন্মের সময়ের বেতেলহেম শহরের দৃশ্য তৈরী করা হয়, যেখানে যীশুর জন্ম হয়েছিল।
এরপর আতশবাজি পুড়ানো হয়। একের পর এক আতশবাজিতে গির্জাপ্রাঙ্গন আলোকময় হয়ে উঠে। এরপর বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কেক কাটেন বিশপ লুমেন মন্টেরো। এই কেক উপস্থিত সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।
এই উপলক্ষ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিশপ লুমেন মন্টেরো প্রথমে সকলকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে বলেন, অনেকে মনে করেন ক্রীস্টমাস মানে বড়দিন সকলে আনন্দ করার দিন। আসলে এই দিন হচ্ছে প্রভু যীশুর জন্মদিন। তাই সকলে এখানে আনন্দ করতে মধ্যরাতে আসেন। তিনি রাজ্যের সকল অংশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেছেন বলে জানান। এই উপলক্ষ্যে প্রতি বছর মরিয়মনগরে দুই দিন ব্যাপি মেলা বসেছে।