জোলাইবাড়ি, ২৬ ডিসেম্বর : ত্রিপুরা সরকার চাইছে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করতে। ২০১৮ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে বিজেপি জোট সরকার। যার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করা। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়ী ষ্টেন্ডে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ শুরু হয়। ধান ক্রয়ের শুভ সূচনা করেন জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, শান্তিরবাজারের মহকুমাশাসক কে সি গুপ্তা, জোলাইবাড়ি কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস, জোলাইবাড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত বাম আমলে কৃষকদের কোন প্রকার সহায়তা করা হত না। বাম আমলে কৃষকদের ধান উৎপাদন হলে বিশেষ তহবিলের নামে চাঁদা ও ধান সংগ্রহ করত। বাম আমলে কৃষকদের দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করতো। রাজ্যে পালাবদলের পর রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের জন্য কিষাণ সন্মাননিধি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকারিভাবে ক্রয় করা হচ্ছে।
মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া আরও বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকারের কৃষিজ যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে। গত আগষ্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিমানে ক্ষতির পরেও কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষকরা পুনরায় ধান উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেছে। আগামী ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এই ধান ক্রয়ের প্রক্রিয়া। প্রতি কেজি ২৩ টাকা করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জোলাইবাড়ি বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ধান নিয়ে বিক্রি করার জন্য ভীড় করেন। এইভাবে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।