বিলোনিয়া, ২৬ ডিসেম্বর : গত ৩৭ বছর ধরে অবিভক্ত দক্ষিণ ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক আঙিনায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে বিলোনয়া রবীন্দ্র পরিষদ। পরিষদের বার্ষিক প্রোগ্রাম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় বিলোনিয়া রবীন্দ্র পরিষদের প্রাচী গৃহে রবীন্দ্র ও মণিপুরী নৃত্য বিষয়ক একটি আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজিত হয়েছে৷
এই আনন্দোৎসবে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যগুরু তথা বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ড: সুমিত বসু। প্রথম পর্বে রাজ্যের খ্যাতমানা তবলা বাদক সুপ্রতীম ভট্টাচারর্য্যের যুগলবন্দীতে সংস্থার গীতালি শাখার শিক্ষিকা তথা রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তনী তানিয়া দে, নৃত্যভানুর শিক্ষিকা তৃণা কর্মকার এবং ছাত্রীদের দ্বারা উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশিত হয়েছে৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে পরিষদ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দাস অনুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে মণিপুরী নৃত্যের প্রচার এবং প্রসারে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ, ত্রিপুরার রাজ পরিবার এবং নৃত্যগুরুদের ভূমিকা সহ পরিষদের বিগত দিনের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচী এবং আগামীদিনের রূপরেখা তুলে ধরেন৷
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ড: সুমিত বসু একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শাস্ত্রীয় মণিপুরী নৃত্যগুরু। দেশ বিদেশের সাংস্কৃতিক সদনে তাঁর অপরূপ নৃত্যশৈলীর জন্য তিনি নানান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ এবারকার দক্ষিণ ত্রিপুরা সফরে সাব্রুম ভ্রমণকালে প্রাক্তন শিক্ষা আধিকারিক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক দুলাল দাস তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। সাব্রুম, পিলাক, বনকুল ভ্রমণ শেষে বিলোনিয়ায় রবীন্দ্র পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ তাঁর তত্বাবধানে ত্রিপুরার বহু ছাত্র ছাত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন৷
এদিনের অনুষ্ঠানে শিল্পী, সাহিত্যিক, ছাত্রছাত্রী, বুদ্ধিজীবী মহল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷ বিলোনিয়া রবীন্দ্র পরিষদ সভাপতি আশীষ পাল এই অনুষ্ঠানকে সার্থক এবং সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য উপস্থিত সকল রবীন্দ্রপ্রেমী দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।