নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর।। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বহুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় রাত ৮টা নাগাদ তাঁকে এইমস-এর ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ড. সিং দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা, যার মধ্যে তাঁর স্ত্রী গুরশরণ কৌরও ছিলেন, শীঘ্রই হাসপাতালে পৌঁছান। এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ড. সিং দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা, যার মধ্যে তাঁর স্ত্রী গুরশরণ কৌরও ছিলেন, শীঘ্রই হাসপাতালে পৌঁছান। এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভ
ড. মনমোহন সিং-এর প্রয়াণে কংগ্রেস দল গভীর শোক প্রকাশ করেছে। দিল্লি কংগ্রেস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, “দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ড. মনমোহন সিং-এর প্রয়াণ ভারতীয় রাজনীতির এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।”
পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং বলেন, “ড. মনমোহন সিং-এর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। একজন প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাধারণ অর্থনীতিবিদ হিসেবে তাঁর অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।”
ড. মনমোহন সিং ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পাঞ্জাবের গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শরণার্থী হিসেবে দেশভাগের পর তাঁর পরিবার ভারতে চলে আসে। নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং মেধার দ্বারা তিনি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছান। ক্যামব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দুটি পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ভারতের একমাত্র শিখ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে ভারত একাধিক ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক সংস্কার অর্জন করে।