কুমারঘাট, ২৪ ডিসেম্বর : বুধবার বড়দিন। খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি অন্যতম বিশেষ পার্বন।এই দিনেই খ্রীষ্ট ধর্মের প্রবর্তক তথা যীশু খ্রীষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই যীশুর জন্মদিন উপলক্ষে সর্বত্রই প্রতিবছর আনন্দে মাতেন খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। ত্রিপুরাতেও চলছে বড়দিন পালনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হবে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের মূল অনুষ্ঠান।
ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট দারচৈ এডিসি ভিলেজেও বড়দিনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। শহরের বাজারে চলছে বড়দিনের কেনাবেচা। যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা দারচৈ গ্রামকে। বড়দিনের ষ্টার এবং খ্রীষ্টমাস ট্রি সহ বাহারী আলোকসজ্জায় দারচৈ গ্রামের রাস্তাঘাট নিজেরাই সাজিয়ে তুলছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ব্যাক্তিগতভাবে যার যার বাড়ীর সামনে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলেছেন তারা।
এলাকার বাসিন্দা থাঙলিয়ানা ডার্লং জানিয়েছেন, বড়দিন উপলক্ষে গ্রামে অনুষ্ঠান চলবে আগামী তিন চারদিন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় গির্জায় চলবে প্রার্থনা থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যীশুর জন্মদিনকে ঘিরে রকমারি খাওয়া দাওয়া থেকে নতুন পোশাক পরে ঘুরাঘুরি সহ চলবে তাদের আনন্দ উৎসব। একটি বছর পর প্রভূ যীশুর জন্মদিন উদযাপন ঘিরে এলাকার খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বেজায় খুশি বলে জানালেন এলাকার ওই বাসিন্দা।
এদিকে বড়দিনকে ঘিরে স্থানীয় কুমারঘাট বাজারে জমে উঠেছে কেনাবেচা। খ্রীষ্টমাস ট্রি, রকমারি লাইটিং, সান্তাক্লজের ড্রেস সহ বিভিন্ন বড়দিনের সামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। কেনাকাটা করতে আসা এক ক্রেতা জানালেন, বড়দিন উপলক্ষে প্রতিটি গির্জায় এখন খুশির আবহ। যীশুর জন্মদিনকে ধুমধামে পালন করতে খ্রীষ্টমাস ট্রি, লাইটিং, জামাকাপড় কেনা প্রায় শেষ।
অন্যদিকে বাজারের এক বিক্রেতা জানান, বড়দিন উপলক্ষে সান্তাক্লজের ড্রেস, টুপি থেকে রকমারি লাইটিং, খ্রীষ্টমাস ট্রি, সাজসজ্জার সবকিছুরই যোগান রয়েছে দোকানে। চলছে বিক্রিও। বড়দিনের কয়েকদিন ব্যাবসা করে আনন্দ মিলে বলেও জানালেন ঐ বিক্রেতা। এককথায় যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন তথা বড়দিনকে কেন্দ্র করে অন্যান্য জায়গার সাথে আনন্দমুখর পরিবেশ কুমারঘাটের দারচৈ এডিসি ভিলেজে।