বিলোনিয়া, ৭ ডিসেম্বর : জাতীয় যক্ষা নির্মূলিকরনের একশ দিনের অভিযান সারা দেশের সাথে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায়। শনিবার দক্ষিণ জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে প্রদীপ প্রজ্বলন করে যক্ষা সনাক্তকরণের একশ দিনের যে কর্মসূচি তার সূচনা করা হয়। যক্ষা নির্মূলীকরনের কর্মসূচী চলবে সাত ডিসেম্বর থেকে সাতাশ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত।
এই একশ দিন ধরে আশাকর্মীসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যক্ষা রোগীদের চিহ্নিত করবেম। যক্ষা রোগীদের পুষ্টিকর আহার প্রদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হতো বর্তমানে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া পুষ্টিকর খাবার রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে প্রদান করা হচ্ছে। আজ থেকে রাজ্যের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে এই ১০০ দিনের যক্ষা নির্মূলিকরণের ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যক্ষামুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে ২০২৩ সালে দক্ষিণ জেলার পঞ্চায়েত গুলিকে যক্ষা মুক্ত পঞ্চায়েত হিসেবে শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। ২০২৪ সালে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর কাজ চলছে। এই কর্মসূচিকে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে আশা কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সনাক্তকরণের কাজ করবেন। বর্তমানে দক্ষিণ জেলায় ৪৮২৫৪৮ জনসংখ্যার মধ্যে ১৩৮ জন যক্ষা রোগীর চিকিৎসা চলছে। জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৩৫৫৫ জনের কফ পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪৫ যক্ষা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ জেলা চৌদ্দ জন যক্ষা রোগীর মৃত্যু হয়ছে। বর্তমানে দক্ষিণ জেলা সবগুলি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা করে রোগীদের বিনামূল্যে ওষধ বিতরণ করা হচ্ছে।
এই বিষয়গুলি এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, দক্ষিণ জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতির্ময় দাস, বিলোনীয়া পুরপরিষদের চ্যায়ারপার্সন নিখিল চন্দ্র গোপ, ডাক্তার বিতান সেনগুপ্ত, মনীষ চৌধুরী, হো কনসালটেন্ট সঞ্জীব ঝাঁ, জেলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয় কমিটির চেয়ারম্যান শম্ভু মানিক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান শেষে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতির্ময় দাস, জেলা পরিষদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শম্ভু মানিক পতাকা নাড়িয়ে দক্ষিণ জেলা নিক্ষয় মিত্র ভ্রাম্যমান গাড়ির সূচনা করেন।