আগরতলা, ১৬ নভেম্বর : ত্রিপুরার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তথা আইটিআইগুলিতে আধুনিক কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সুপরিচিত টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ ভাবে ত্রিপুরার ১৯টি আইটিআই-তে আগামী পাঁচ বছর প্রশিক্ষণের আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার মহাকরণে একথা জানিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি আরো জানান সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই আধুনিকীকরণের জন্য টাটা গোষ্ঠী ৮৬ শতাংশ এবং ত্রিপুরা সরকার ১৪ শতাংশ ব্যয় বহন করবে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরায় আইটিআই-র প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে ৫৭০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবে। রাজ্য সরকার নাবার্ড থেকে ঋণ নিয়ে ১২১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শীগ্রই টাটা টেকনোলজির সাথে ত্রিপুরা সরকার মৌ স্বাক্ষর করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশে স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে তুলার ডাক দিয়েছেন। তাতে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্ত ত্রিপুরায় আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকাঠামোর দিক দিয়ে আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই টাটা গোষ্ঠীর সহায়তায় যৌথভাবে ত্রিপুরায় ১৯টি আইটিআই-তে আগামী পাঁচ বছর প্রশিক্ষণের আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে টাটা গোষ্ঠী কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অসম, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং তেলেঙ্গানা সহ দেশের আরও অন্যান্য রাজ্যের আইটিআইগুলিতে বিনিয়োগ করেছে। ওই বিনিয়োগে রাজ্য সরকার যৌথভাবে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে, নতুন নতুন মেশিন ও টেকনোলজি ব্যবহার করে ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াই মূল লক্ষ্য। ত্রিপুরা সরকারও এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ত্রিপুরার আইটিআইগুলিতে টাটা গোষ্ঠী ৮৬ শতাংশ এবং ত্রিপুরা সরকার ১৪ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরায় আইটিআই-র প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে ৫৭০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবে। রাজ্য সরকার নাবার্ড থেকে ঋণ নিয়ে ১২১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে, ত্রিপুরার ছাত্র ছাত্রীরা কর্মসংস্থানে ব্যাপক সুযোগ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
