আগরতলা, ১৫ নভেম্বর : আমাদের সমাজের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। জনজাতিদের ভূমিকার মূল্যায়ন ছাড়া আমাদের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে জনজাতি সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁদের রক্ত দিয়েছেন। শুক্রবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্যভিত্তিক জনজাতীয় গৌরব দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উত্তর- পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, আদিবাসী সমাজের বৈচিত্র আমাদের মহান দেশকে একসূত্রে বেঁধে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন প্রথা ও পরম্পরা সমূহ সমস্ত বিশ্ব মেনে নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিষয়টি আজ আমাদের সামনে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে তা আসত না। প্রকৃতি এতটা আমাদের উপর রুষ্ট হত না।
তিনি বলেন, সমগ্র দেশেই জনজাতীদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করে কাজ করা হচ্ছে। সমগ্র দেশে ১২ হাজার আদিবাসী গ্রামের জন্যে ২৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসীদের ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাদের লেখাপড়ার জন্যে বিভিন্ন জায়গায় একলব্য স্কুল খোলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে আজ থেকে জনজাতিদের কল্যাণে বর্ষব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, জনজাতিদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্যে রাজ্য সরকার নানাভাবে কাজ করে চলেছে।
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে জনজাতিদের উন্নয়ন সম্পর্কিত ২,২৭৮ লক্ষ টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পের বেনিফিসিয়ারিদের সংবর্ধনা এবং তাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃতি দেবী দেববর্মণ, উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিবব্রিজেশ পান্ডে, দপ্তরের অধিকর্তা শুভাশিস দাস, কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব জ্যোতিন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ।